পাতা:বিপ্লবী সুভাষচন্দ্র - প্রফুল্লরঞ্জন রায় - শ্যামদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৯৬
বিপ্লবী সুভাষচন্দ্র

করেন। সুভাষচন্দ্র ডি, ভ্যালেরার সহিত আয়ার্‌ল্যাণ্ড ও ভারতের অবস্থা সম্পর্কে বিস্তৃত আলোচনা করেন,—এই সময়ে উভয়ের মধ্যে প্রগাঢ় বন্ধুত্ব স্থাপিত হয়। এই দুই নির্য্যাতিত দেশের মধ্যে গভীর যোগসূত্র স্থাপনের উদ্দেশ্যে সুভাষচন্দ্র প্রস্তাব করেন, যে কতিপয় ভারতীয় অধ্যাপককে আয়ার্‌ল্যাণ্ড পরিদর্শনের সুযোগ ও ভারতীয় ছাত্রদিগকে আয়ার্‌ল্যাণ্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করিবার সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হউক। ডি, ভ্যালেরা এই প্রস্তাবে আগ্রহের সহিত সম্মতি দান করেন।

পনের

 ১৯৩৬ সালে লক্ষ্ণৌতে কংগ্রেসের অধিবেশন হইবার কথা। এই অধিবেশন বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ বলিয়া বিবেচিত হয়; কেননা, এই অধিবেশনে ১৯৩৫ সনের ভারত শাসন আইন সম্পর্কে মত গ্রহণ করার কথা ছিল। তদুপরি এই অধিবেশনে বামপন্থীদলের বিশেষ করিয়া সমাজতন্ত্রী সাম্রাজ্যবাদবিরোধীদের সক্রিয় অংশ গ্রহণ করিবার সম্ভাবনা। বামপন্থীদের নেতা হিসাবে জওহরলাল কংগ্রেসের সভাপতি নির্ব্বাচিত হন। সুভাষচন্দ্রকে এই সম্মেলনে দেখিবার জন্য দেশবাসী অত্যন্ত উদ্‌গ্রীব হইয়া উঠে। দেশবাসীর পক্ষ হইতে জওহরলাল দেশবাসীর এই বাসনা সুভাষচন্দ্রকে জ্ঞাপন করেন। সুভাষচন্দ্র দেশে ফিরিবার সিদ্ধান্ত করেন। কিন্তু সরকার পক্ষ হইতে এক আদেশ জারী করিয়া তাঁহাকে জানানো হয় যে, দেশে তিনি মুক্ত অবস্থায় থাকিতে পারিবেন না। সুভাষচন্দ্র এই অন্যায় আদেশ অগ্রাহ্য করিয়া স্বদেশাভিমুখে যাত্রা করেন। যাত্রার প্রাক্কালে তিনি বিলাতের সংবাদ পত্রে এই অদ্ভুত আদেশের প্রতিবাদে এক বিবৃতি প্রচার করেন। ১৯৩৬ সালের ১১ই এপ্রিল কণ্টিভার্ড জাহাজ