পাতা:বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় অপ্রকাশিত দিনলিপি.pdf/১১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কেনো আমার সঙ্গে এসেছিল। সে পাটুশিমলেতে ফিরে গেল। আমায় পিসিমা ছাড়লেন না কিছুতে । রাত্রে লুচি খাওয়ালেন। কত পুরোনো দিনের গল্পগুজব হোল। রাত্রে পিসিমার ঘরের মধ্যে শুয়ে রইলুম। বীকেলে। [ বিকেলে ] খুব বৃষ্টিহোল। পিসিমার ঘরে গুরোনো পুরোনো কতকালের গন্ধ-সেই ছেলেবেলার, মত। ১৪ বছর পরে পিসিমার বাড়ী এলুম।* ৮ই জুন, ১৯৩৩। ২৫A; জ্যৈষ্ঠ, ১৩৪০ । বৃহস্পতিবার পরদিন সকালে উঠে মন্তীতে এলুম। ভারী আরাম। দুধারে বঁাশঝাড়, উচু পোতা-নদীটি বেঁক ১থয়েছে-সুন্দর নদীটি-কলকাতার কোনো কর্মব্যস্ততা বা হাঙ্গামা এখানে নেই-আত্মা পরিপূর্ণ অবসরের মধ্যে সতেজ হয়ে উঠে। মনে হোল এই তো বেলা নটা, কলকাতায় এরি মধ্যে ব্যস্ত হয়ে উঠেচি-এখনই স্নানাহার সেরে নিয়ে বেরিয়ে পড়তে হবে। অপূৰ্ব আনন্দ ওশান্তি । বিকেলে ঘোড়া নিয়ে এল বৈদ্যনাথত পাটশিমলে থেকে । তার সঙ্গে বেশ মাঠের মধ্যে দিয়ে ঘোড়া উড়িয়ে পাটশিমলে পৌছুলাম সন্দের সময়। বেশ জ্যোৎস্ব উঠেচে। তাস ও পাশা খেলা একটু হোল। তারপর শুয়ে, পড়লুম। রাত্রে ঘুম হোল না। বেজায় মশা ! ৯ই জুন, ১৯৩৩ । ২৬শে জ্যৈষ্ঠ, ১৩৪ • । শুক্রবার সকালে উঠে চা খাচ্চি, এমন সময় ভট্টাচাৰ্য্য এসে হাজির ৷ গোবরাপুরের মণীন্দ্ৰ চাটুষ্যে পাঠিয়েছেন, তার তিনটি বয়স্ক মেয়ে আছে, দেখতে যেতে হবে। আহারটা সেরে আমরা চারজনে বেরুলুম। বেজায় রোদ, বটতলায় বসে একটু বিশ্ৰাম করে গাড়াপোতা এলুম। এখানে শ্যাম পোদ্দারের বাড়ীতে জলটল খেয়ে, ঠাণ্ডা হয়ে নাপিত ডেকে দাড়ি কামালুম। তারপর মণীন্দ্ৰ চাটুষ্যের বাড়ীতে, মেয়ে দেখে ও জলযোগ সেরে বেলা ৫*২৫ মিনিটে বেরিয়ে পড়লাম। আমার সঙ্গে ২৩ জন লোক মাড়িঘাট পৰ্য্যন্ত এলেন । ও রাস্তাটা অতি চমৎকার । মোল্লাহাটির মাঠ পৰ্য্যন্ত ও পথটা বাস্তবিক অতি সৌন্দৰ্য্যশীল। একদিকে বঁাওড়, একদিকে বঁাশঝোড় ভারী সুন্দর দেখতে । বিকেল হয়েচে, পাখী ডাকৃচে -Joy of life যেন সারা অঙ্গে অঙ্গে অনুভব করছিলুম। হাজরা ময়রা সে আসচে ‘সাইকেলে মহেশপুর থেকে। দুজন একসঙ্গে খেয়াপার হলুম। খুব; ১ কুশল পাহাড়ী গ্রন্থের ‘বড় দিদিমা” গল্পে এই কাহিনীর ছাপ আছে ২ ভিত ( plinth ) ; এখানে নদীর পাড় । ७ 8वधनार्थ भूस्थानाशांश, शौयशूद्रबांगी (बनीं।)। As es e