পাতা:বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় অপ্রকাশিত দিনলিপি.pdf/২২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

DBDD D DBDB DYYSSLDSC BBDS SBDDD S BDBS SBD SLBDBS খোলাভাটির কাছে পাথরের ওপর বসে গল্প করলুম তার সঙ্গে। সে বলে, পাটমৈল্লায় জমি আছে। স্টেশনে বসে সাহেবটার সঙ্গে ? ও আফ্রিকার গল্প করি। তারপর এসে তাড়াতাড়ি অন্ধকারে পাহােড়র কোণে শালবন ও রাঙামাটির টিলাতে বেড়াতে গেলুম। তখন অন্ধকার হয়ে গিয়েচে । রাত্রে ঝড়া ডাক্তার এসে ডাকলে-আমি বলুম আর বাহি6র বসবো না। ১৪ই ফেব্রুয়ারি, ১৯০৪ ৷ ২রা ফাঙ্কন, ১gPo । বুধবার সুবৰ্ণরেখার ধারে মোহিনীবাবুর নার্সারিতে ৰেড়াতে গেলাম। অতি মনোরম স্থান-একটা উচু টিলার ওপরে পরিষ্কার ঘরটা। পিচ, কমলা নানাবিধ ফলাফুলের বাগান নীচে। ওপরের পাহাড়ের দৃশ্য বড় সুন্দর দেখায়। ময়ুরভঞ্জে বাড়ী ? সঁওতাল এখানে কাজ করে - সে বল্লে, ওপারের বন ময়ুরভঞ্জ পৰ্য্যস্ত বিত্বতবন্য মহিষ আছে এবং ? অর্থাৎ বাইসন আছে। রোজ বলরাম সায়েয়ে নাইতে যাই-ওদিকের পাহাড়শ্রেণী ও একটা অদ্ভুত ধরণের গাছ পাহাড়ের পটভূমিতে ভারী ভাল লাগে। ইছামতীর কথা মনে আসে। বৈকালে পাহাড়টার ওপাশে বেড়াতে গেলুম। আসানবনীর সেই ফুল ফুটেছে পাহাড়ের গায়ে। রাত্রে আমি ও ডাক্তারবাবু বসে আফ্রিকার গল্প বলি। তারপর পোস্টমাস্টার এলেন। তিনি বলছিলেন ? থেকে Gua পৰ্য্যন্ত জঙ্গল খুব। নোয়ামুণ্ডিও খুব জঙ্গল দুইলাইনে। আমাদের বাসায় এই পাহাড়টার নাম নেকড়াভুংরি-এখানে নেকৃড়ে থাকৃচে । • ? অর্থাৎ বন্য কুকুর থাকৃচে । টাটার কাছে ভেলা গাছ আছে-খুব জঙ্গল । চক্ৰধরপুর থেকে রাঁচী মোটরে ফিরেচি[-] পথে খুব দৃশ্য ভাল। বৈতরণী নদীর ওপরে কেওন্ধর স্টেট-ভয়ানক জঙ্গল। সিমলাখালি পাহাড় আছে-ওখানে বারিপদার কাছে- সেখানে সবরকম বন্য জন্তু আছে । ১৫ই ফেব্রুয়ারি, ১৯৩৪ ৷৷ ৩রা ফান্তন, ১৩৪০ । বৃহস্পতিবার খুব ভোরে উঠে সুবর্ণরেখার ধারে বেড়াতে গেলুম। ভারী সুন্দর জায়গা । উপলখণ্ড সেখানে পড়ে আছে-ওপারের জঙ্গলের দৃশ্য চমৎকার-এপারেও উঁচু পাড় ও গাছপালার ভঙ্গি যেন নৃত্যশীল নটরাজের মত ছন্নছাড়া ও উদ্দাম । - জীবন নার্সারীতে গিয়ে পাকাকুল ও কমললেবু খেলাম । এইমাত্র রাখা মাইনাল থেকে ফিরে আসচি। রাখামাইনস এর সমতল ভূমির আধমাইল পশ্চিমে যে পাহাড় তারই ওপারে গেলুম। সামনে, পেছনে, ডাইনে, বায়ে সুউচ্চ শৈল চুড়ায় অরণ্যাণী-শীর্ষে প্ৰত্যাসন্ন অপরান্ত্রের পীতাভ রৌদ্র, R e A