পাতা:বিভূতি বীথিকা - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৪৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সেই পণ্ডিত মশায়ের জন্যে দু’টো চাল, ভাজচি যে। তেল নুন মেখে তোমরা ফু’জনেই খাওগে -শোনো, পণ্ডিত মশাই রাত্তিরে এখানে খাবেন। --তুমি বললে বুঝি ? --না, উনিই বলচোন। আমি কিছু বলি নি । -অন্য কিছু নয়, কি দিয়ে ভাত দিই পাতে ? একটু দুধ যা ছিল, ওবেলা তুমি আর হাবু খেয়েচ। দুৰ্গা পণ্ডিতের কথাবার্তা শুনে গঙ্গাচরণের মনে হলো সে খুব ভয় পেয়েছে। এমন একটা অবস্থা আসবে সে কখনো কল্পনাও করতে পারে নি। ওর ভয়ের ছোয়াচ এসে গঙ্গাচরণের মনেও পৌছায়। বাইরে ঘোড়ানিম গাছটার তলায় অন্ধকার রাত্রে বসবার জন্যে হাবু একটা বঁাশের মাচা করেছিল। দুই পণ্ডিতে সেই মাচার ওপর একটি মাদুর বিছিয়ে দিব্যি ফুরফুরে ফাগুনে হাওয়ায় বসে তামাক ধরিয়ে কথাবার্তা বলছিল। হাবু এসে বললে-বাবা, নিয়ে এসো डैक, थSशब्र खांब्रश श्ccb মুগের ডাল, আলুভাতে, পেঁপের ডালনা ও বড়াভাজা । অনঙ্গ-বেী রাধতে পারে খুব ভালো। দুৰ্গা পণ্ডিতের মনে হলো এমন সুস্বাদু। অন্নব্যঞ্জন অনেক দিন খায় নি। হাবু বললে—ম জিজ্ঞেস করচে আপনাকে কি আর দু’খানা दएॉडजl cद ? গঙ্গাচরণও ওই সঙ্গে খেতে বসেচে। বললে-হঁ্যাহঁ্যা, নিয়ে আয় না ? জিজ্ঞেস করাকরি কি ? অনঙ্গ-বেী আড়ালে থেকে হাবুর হাতে পাঠিয়ে দিলে একটা রেকাবিতে কিছু পেঁপেব ডালনা, ক’খানা বড়াভাজা । গঙ্গাচরণ বললে-ওগো, তুমি ওর সামনে বেরোও, উনি তোমাব ধনপতি কাকার বয়েসী । আপনার বয়েস আমার চেয়ে বেশি হবে, কি বলেন ? দুৰ্গা পণ্ডিত বললে-অনেক বেশি। বৌমাকে আসতে বলুন না ? একটা कॅफ़ २iब्ल निश अiश्न। একটু পরে অনঙ্গ-বেী লজ্জা কুষ্ঠিত জড়িত সুঠাম সুগৌর কঁাচের চুড়ি পরা হাতে গোটা দুই কাচা লঙ্কা এনে দুৰ্গা পণ্ডিতের পাতে ফেলে দিতেই দুৰ্গা পণ্ডিত ওর দিকে মুখ তুলে চেয়ে বললে-মা যে আমার লক্ষ্মী পিরাতিমে। 8 o