পাতা:বিভূতি রচনাবলী (একাদশ খণ্ড).djvu/১২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

இசை বিভূতি-রচনাৰলী না। ওতেই তো মরেছি। আপনি ভদ্রলোক, আপনাকে বলতে কি ? ও নেশা খাকৰে না। ওকে ছেড়ে দিন। প্রাকৃটিশ করতে হয় ঘর দিচ্চি, এখানে প্রাকৃটিশ করুন। সব জোগাড় করে দিচ্চি । —আচ্ছা, আপনার কথা মনে রইল। যদি কখনো— —ন না, আপনি থাকুন এখানে। এদেশে ডাক্তার নেই। পান্নাকে নিয়েই থাকুন। আমার আপত্তি নেই। —ত হয় না। সবাই টের পেয়ে গিয়েছে ও নাচওয়ালী। এখানে প্রাকৃটিশ এক হোতে পারে, ওকে নিয়ে হয় না । —সব হয় মশাই। আমার নাম বন্ধুবিহারী জোয়ারদার, মনে রাখবেন ডাক্তারবাৰু। আপনাদের বাপ-মার আশীৰ্ব্বাদে—আপনার নামটি কি ? —না। সেটা বলবো অন্য সময়ে । বুঝতেই পারচেন। —আপনাকে বলা রইল। যে পথে নেমেচেন, বিপদে পড়লে চিঠি দেবেন। আমি যা করবার করবে। ডাক্তারবাৰু। যাবার সময় শেষ রাত্রে নায়েবমশায় নিজে নৌকোয় এসে দাড়িয়ে আমাদের জিনিসপত্র তুলবার সব ব্যবস্থা করে দিয়ে গেলেন। পান্নার সম্বন্ধে আর কোন কথা মুখেও আনলেন না। আমাকে আর একবার আসতে বললেন, বার বার করে। কার মধ্যে যে কি থাকে ! পান্না নৌকায় বললে—বুড়োটা ক্ষেপেছিল তাহলে ? —সেটা তোমার দোষ । ওর দোষ নয় । —কি বললে শেষটাতে ? নীলি ঝঙ্কার দিয়ে বললে—তুই ক্ষ্যামা দ্ধে বাপু একটু ঘুমুতে দে। নেকু, ওরা কি বলে তুমি জানো না কিনা ? খুকি ! চুপ করে থাক । পান্না হেসে বললে—নীলিদির রাগ হয়েচে-হাজার হোক— —আবার ওই কথা ! ঘুমুতে দে। বক্‌ বক্‌ করতে হয় তোমরা নৌকোর বাইরে গিয়ে বকো। t নৌকোতে উঠে সকালের হাওয়ায় আমার ঘুম এল । অনেকক্ষণ পরে দেখি পান্না আমায় ডেকে তুলচে। বেলা অনেক হয়েচে। নৌকো এসে স্টেশনের ঘাটে পেীচে গিয়েচে । নীলি হেসে বললে—তাহলেই আপনি মুজরোর দলে থেকেচেল । তিন চার রাভ জাগতে হবে অনবরত । ঘুমুতে পারবেন না মোটে, তবেই মুজরো পারা যায়। আমাদের সব অভ্যেস হয়ে গিয়েচে । গাড়ীতে উঠে নিরিবিলি পেয়ে পান্না জামায় বললে—কত টাকা পেলাম বল তো ? -कि छांनि ?