পাতা:বিভূতি রচনাবলী (একাদশ খণ্ড).djvu/২১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দম্পতি y?\) গদাধর আগের মত লাজুক ও নিরীহ পল্লীগ্রামের গৃহস্থটি আর এখন নাই। মেয়েদের সঙ্গে কথা বলিতে অভ্যস্ত হইয়া উঠিয়াছেন। তিনি প্রথমেই শোভার কথার কোনো উত্তর না দিয়া একখানি চেয়ারে বসিয়া পড়িলেন। একবার এদিক-ওদিক চাহিয়া দেখিলেন । কোনোদিকে কেহ নাই। তখন স্বর নীচু করিয়া তিনি বলিলেন—আমায় দেখে রাগ করেচো, না খুশী হয়েচে শোভা ? মুখ ঘুরাইয়া শোভা বলিল—ওসব ধ্যানের কথা এখন থাক। আমার নষ্ট করবার মত সময় নেই হাতে•••কোনো কাজ আছে ? গদাধর হাসি-হাসি মুখে বলিলেন•••না কোনো কাজ নয়, তোমায় দেখতে এলাম । —হয়েছে, থাকৃ। —রাগ কিসের ? —রাগের কথা তো বলিনি—সোজা কথাই বলচি । এইসময় ভৃত্য শুধু শোভার জন্য চা ও খাবার আনিয়া, টি-পয় আগাইয়া শোভার টুজিচেয়ারের পাশে বসাইয়া দিল । শোভা ভ্র কুঞ্চিত করিয়া বলিল—বাবুর কই ? —আপনি তো বললেন না, মাইজি ! —যত সব উল্লুক হয়েচো ! বলতে হবে কি ? দেখতে পাচ্চো না ? গদাধর ব্যস্ত হইয়া বলিতে গেলেন—আহা, থাকৃ, থাকৃ, আমার না হয়—আমি জার এখন চ খাবো না শোভা | শোভা নিস্পৃহ-কণ্ঠে বলিল—তবে থাকৃ। সত্যিই খাবেন না ? --नl, नां-श्रांभि-७थन १ांतृ । শোভা আর দ্বিরুক্তি না করিয়া নিজেই চা পান শুরু করিয়া দিল । গদাধর গলা ঝাড়িয়া বলিলেন –কাল সব কণ্টাক্ট হয়ে গেল শোভা । আমার অনুরোধ, তোমায় আমার কোম্পানিতে আসতে হবে—কাল রেখা আর স্বযমা কণ্টাক্ট করলে। শোভা চায়ে চুমুক দিতে যাইয়া, চায়ের পেয়ালা অৰ্দ্ধপথে ধরিয়া, গদাধরের মুখের দিকে চাহিয়া বলিল—কোথায় হলো ? —কাল রাত্রে, ঘোযেদের বাগান-বাড়ীতে । —অঘোরবাবু ছিল ? —হঁ্যা, সেই তো সব যোগাড় করচে । শোভা আর কোনো কথা না বলিয়া নিঃশব্দে চা খাইয়া চলিল—উদাসীন, নিস্পৃহভাবে। কোনো বিষয়ে অযথা কৌতুহল দেখানো যেন তাহার স্বভাব ময় ! চ শেষ করিয়া সে পাশের ঘরে কোথায় অল্পক্ষণের জন্য উঠিয়া গেল, যাইবার সময় গদাধরকে কিছু বলিয়াও গেল না। পুনরায় যখন ফিরিল, তখন হাতে দু’খানা গ্রামোফোনের রেকর্ড। একখানা গদাধরের হাতে দিতে-দিতে বলিল—এই দেখুন, আমার গান বেরিয়েচে, এইচ. এম. ভি— কাল এনেচি । বি. র. ১১—১৩