পাতা:বিভূতি রচনাবলী (তৃতীয় খণ্ড).djvu/১১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

अ°ाब्रााँछलं Sసిపీ মত জ্যোৎস্না উঠিয়াছে, ঠিক সেই সব দিনের মত নাটমন্দির হইতে নৈশ কীৰ্ত্ত'নের খোলের আওয়াজ আসিতেছে- কিন্তু সে অপর নাই—বদলাইয়া গিয়াছে—বেমালাম বদলাইয়া গিয়াছে। সত্রীর গহনা বেচিয়া বই ছাপাইয়া ফেলিল প্রজার পরেই । কেবল হার ছড়াটা বেচিতে পারিল না । অপণার অন্যান্য গহনার অপেক্ষা সে এই হার ছড়াটার সঙ্গে বেশী পরিচিত। তাই হারটা সামনে খলিয়া খানিকক্ষণ ভাবিল, অপণার সেই হাসি-হাসি মনখখানা যেন ঝাপসা-মত মনে পড়ে - প্রথমটাতে হঠাৎ যেন খুব সুস্পষ্ট মনে আসে-আধ সেকেন্ড কি সিকি সেকেন্ড মাত্র সময়ের জন্য — তারপরই ঝাপসা হইয়া যায়। ঐ আধ সেকেন্ডের জন্য মনে হয়, সে-ই সেরকম ঘাড় বাঁকাইয়া মুখে হাসি টিপিয়া সামনে দাঁড়াইয়া আছে । ছাপানো বই-এর প্রথম কপিখানা দপ্তরীর বাড়ি হইতে আনাইয়া দেখিয়া সে দুঃখ ভুলিয়া গেল । কিছ না, সব দুঃখ দূরে হইবে । এই বই-এ সে নাম করিবে । আজ বিশ বৎসরের দর জীবনের পার হইতে সে নিশ্চিদিপরের পোড়ো ভিটাকে অভিনন্দন পাঠাইল মনে মনে । যেখানেই থাকি, ভুলে নি । যাহাদের বেদনার রঙে তাহার বইখানা রঙীন, কত স্থাণে, কত অবস্থায় তাহদের সঙ্গে পরিচয়, হয়ত কেউ বাঁচিয়া. আছে, কেউ বা নাই । তাহারা আজ কোথায় সে জানে না, এই নিস্তবধ রাত্রির অন্ধকার-শাস্তির মধ্য দিয়া সে মনে মনে সকলকেই আজ তাহার ধন্যবাদ জানাইতেছে । মাসকয়েকের জন্য একটা ছোট অফিসে একটা চাকরি জটিয়া গেল তাই রক্ষা। এক জায়গায় আবার ছেলে পড়ায় । এসব না করিলে খরচ চলে বা কিসে, বই-এর বিজ্ঞাপনের টাকাই বা আসে কোথা হইতে । আবার সেই সাড়ে নটার সময় আপিসে দৌড়, সেখান হইতে বাহির হইয়া একটা গলির মধ্যে একতলা বাসায় ছোট্ট ঘরে দুটি ছেলে পড়ানো । বাড়ির কত্তার কিসের ব বলা আছে, এই ধরে তাঁহাদের প্যাকবাক্স ছাদের কড়ি পযf্যস্ত সাজানো । তাহারই মাঝখানে ছোট তত্ত্বপোশে মাদর পাতিয়া ছেলে-দু'টি পড়ে –সন্ধ্যার পরে অপর যখনই পড়াইতে গিয়াছে, তখনই দেখিয়াছে কয়লার ধোঁয়ায় ঘরটা ভরা । শীতকাল কাটিয়া,পুনরায় গ্রীম পড়িল । বই-এর অবস্থা খুব সবিধা নয়, নিজে না থাইয়া বিজ্ঞাপনের খরচ যোগায়, তব বই-এর কাটতি মাই ! বইওয়ালারা উপদেশ দেয়, এডিটারদের কাছে, কি বড় বড় সাহিত্যিকদের কাছে যান, একটু যোগাড়যন্ত্ৰ ক'রে ভাল সমালোচনা বার করুন, আপনাকে চেনে কে, বই কি হাওয়ায় কাটবে মশাই । অপর সে সব পারিবে না, নিজের লেখা বই বগলে করিয়া দোরে দোরে ঘুরিয়া বেড়ানো তাহার কম। নয়। এতে বই কাটে ভাল, না কাটে সে কি কমিবে ? অতএব জীবন পরাতন পরিচিত পথ ধরিয়াই বহিয়া চলিল-আপিস আর ছেলেপড়ানো। রাত্রে আর একটা নতুন বই লেখে। ও যেন একটা নেশা, বই বিক্রি হয়-না-হয়, কেউ পড়ে-না-পড়ে, তাহাকে যেন লিখিয়ু যাইতেই হইবে। মেসে লেখার অত্যন্ত অসুবিধে হইতেছে দেখিয়া সে একটা ছোট একতলা বাড়ির নীচেকার একটা ঘর আট টাকায় ভাড়া লইয়া সেখানে উঠিয়া গেল । মেসের বাবরা লোক বেশ ভালই—কিন্তু তাহাদের মানসিক ধারা যে-পথ অবলম্বনে চলে অপর পথ তা নয়— তাঁহাদের মখেতা, সংস্কার, সীমাবদ্ধতা ও সব রকমের মানসিক দৈন্য অপরকে পীড়া দেয়। খানিকক্ষণ মিস্টালাপ হয়তো এদের সঙ্গে চলিতে পারে –কিন্তু বেশীক্ষণ আড্ডা দেওয়া অসম্ভব –বরং কারখানার ননী মিশরী, কি চাঁপাদানীর বিশ্ব স্যাকরার আন্ডার লোকজনকে