উমি্মখের Bర్సీ No Stars, no music, no spring Flower-perfume...” আজ সকালে আমরা নৌকোয় সাত-ভেয়ে কালীতলায় গেলাম। পথে চালতেপোতার বাঁকে কত রকমের ফুল যে ফুটেচে—সেই আর বছরের কুচো কুচো হলদে ফুলগুলি, নীল ঘাসের একরকম ফুল, কলমীর ফুল—সকলের চেয়ে বেশী ফুটেচে তিতপল্লার ফুল, যে ঝোপের মাথা দেখি—সম্ভবত আলো করে রয়েচে ওই ফুলে। বেলা একটার সময় কালীতলায় গিয়ে পৌছনো গেল। তারপর আমরা গেলাম রেলের পলে বেড়াতে । বটতলায় রান্না করে খাওয়া হোল। ক্ষদ ছটে গেল আমাদের সঙ্গে রেলের রাস্তায় । আমরা পরোনো বনগাঁয়ের দিকে যাচ্চি—রামপদ সইকেল নিয়ে এসে আমাদের ফিরিয়ে নিয়ে গেল। খাবার পরে আবার একটু রেল লাইনে বেড়িয়ে সন্ধ্যার সময় নৌকোয় উঠে নেীকো ছাড়ি। পথে কত কি গল্প করতে করতে চমৎকার জ্যোৎস্না রাত্রির মায়া যেন আমাদের পেয়ে বসল। তখন চালতেপোতার বাঁকে এসেচি, তখন নিস্তব্ধ নিউজ’ন স্যগন্ধ বনের চরে কাটা চাঁদের শিশির-পাণ্ডুর জ্যোৎস্না ও নক্ষত্ৰলোকের শোভা যেন সমস্ত নদী ও বনকে মায়াময় করেচে মনে হোল । চাঁদ-ডোবা অন্ধকারের মধ্যে আমাদের ঘাটে এসে নৌকা লাগল । তব্যও মনে হয় এ সব জায়গায় বারো মাস আসা আমাদের মত লোকের চলে না। কারণ জীবন নদীর স্রোতধারা এখানে মন্দ গতিতে প্রবহমান—সক্লিয়, উন্নতিশীল, বেগমান জীবন এখানে অজ্ঞাত । বন্ধ জলে পানা-শেওলা জমে, জলকে শীঘ্ৰ দুষিত করে ফেলে । যে চায় জীবনকে পরিপািণ ভাবে ভোগ করতে, যাকে তার উপযুক্ত বন্ধিবৃত্তি ও ক্ষমতা নিয়ে ভগবান সন্টি করেচে, যাকে dull, bore এবং stupid করে সস্টি করেন নি, যার জীবনের প:জি অনেক বেশী, তার জন্যে এসব জায়গা নয়। কিছুকাল এসে বেশ কাটানো যায় বা আসাও উচিত । কিন্ত চিরদিন এখানে যে কাটাবে তাকে তাহলে নিজের বাথ সম্পণে বিসজ্জ’ন দিয়ে সেবারতে দীক্ষিত হতে হবে, যে বলবে, আমার নিজের কিছু চাই নে, দেশের ছেলেদের জন্যে স্কুল খলব, তাদের পড়াব, দরিদ্রদের দুঃখ মোচন করব, ম্যালেরিয়া তাড়াব ইত্যাদি—সে রকম মানুষ হাসিমুখে সমস্ত অসুবিধা ও অন্ধকারকে বরণ করে নিয়ে এখানে এসে চিরকাল বাস করতে পারে । আজ শেষরাত্রে ঘুম ভেঙে একবার বাইরে এলাম, মনে হোল খুব মদ জ্যোৎস্নালোক ঘরের দাওয়ায়—চাঁদ তো অনেকক্ষণ অস্ত গিয়েচে তবে এখন কিসের জ্যোৎসনা ? ক্ষীণ হলেও এটা জ্যোৎস্নালোক সে বিষয়ে কোন ভুল নেই, কারণ খাটির ছায়া পড়েচে, বেড়ার কঞ্চির ছায়া পড়েচে, আমার নিজের ছায়া পড়েচে ।” দীর আকাশে এক সময় হঠাৎ নজর পড়ল—দেখি শ’ইতে তারা উঠেচে । শক্ৰ-জ্যোৎস্না এত স্পষ্ট কখনও দেখি নি জীবনে—সত্যি কথা বলতে কি চপষ্টই কি বা অপষ্টইকি—শত্ৰু-জ্যোৎস্নাই দেখিনি কখনো । এমন অবাক হয়ে গেলাম, এত কথা মনে আসতে লাগল যে ঘমে আর হোল না । আমার মন পথিবীর গডি ছাড়িয়ে বহ-দর ব্যোমপথে গেল উড়ে—আমি যে গ্রহলোকের জীব, আমার বাসস্হান যে বিশাল শন্যের মধ্যে, অন্য আরও গ্রহ ও অগণ্য তারাদলের মধ্যে কত কোটি সমযf্য সেখানে দীপ্যমান, কত নীহারিকা পাজ, কত দশ্য অদৃশ্য শক্তি, বিদ্যুৎ, কসমিক রে,—এদের সঙ্গে আমার আত্মা যেন এক হয়ে গেল । আমার অথলিপস বৈষয়িক আত্মা মুক্তিলাভ করলে অলপ কয়েক মহত্তের জন্যে, ওই শক্লে তারার আলোর পথ বেয়ে উড়ে চলে গেল অসীম দ্যতিলোকের মধ্যে । কাল এখান থেকে চলে যাব । তাই যেন সব কিছর ওপর মায়া হচ্চে। ছায়াঘন
পাতা:বিভূতি রচনাবলী (তৃতীয় খণ্ড).djvu/৪৩৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
![](http://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/f/f7/%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%AD%E0%A7%82%E0%A6%A4%E0%A6%BF_%E0%A6%B0%E0%A6%9A%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A6%B2%E0%A7%80_%28%E0%A6%A4%E0%A7%83%E0%A6%A4%E0%A7%80%E0%A6%AF%E0%A6%BC_%E0%A6%96%E0%A6%A3%E0%A7%8D%E0%A6%A1%29.djvu/page434-1024px-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%AD%E0%A7%82%E0%A6%A4%E0%A6%BF_%E0%A6%B0%E0%A6%9A%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A6%B2%E0%A7%80_%28%E0%A6%A4%E0%A7%83%E0%A6%A4%E0%A7%80%E0%A6%AF%E0%A6%BC_%E0%A6%96%E0%A6%A3%E0%A7%8D%E0%A6%A1%29.djvu.jpg)