পাতা:বিভূতি রচনাবলী (তৃতীয় খণ্ড).djvu/৪৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উমি’ খের 8లీగ్రీ মিউজিক সম্বন্ধে কিছু কিছ জানেন। ক্ষীরোদের গাঁও বেশ মেয়ে। নোগচি জাপানী কবিতা পড়লেন, রামানন্দবাব সামান্য কিছু বক্ততা করলেন—তারপর আমরা মীরা গপ্তের দলে বসে কিছুক্ষণ গল্প করে নীরদবাব ও সোমনাথবাবর সঙ্গে মোটরে *REI -ā'ū on I got go vs. colon Regal-q A mid summer Night's Dream দেখতে । আমি বাড়ি চলে এলাম । আজ সুধীরবাবদের বইয়ের দোকান থেকে বার হয়ে গোলদীঘিতে গিয়ে যখন বসেচি, তখন রাত সাতটা । ধোঁয়া এত বেশী যে আকাশে সপ্তমীর চাঁদকে ঢেকে ফেলেচে ; ট্রামের আলো, বাড়ির আলো, রাস্তার আলো, ধোঁয়ার জালের মধ্যে মিটমিট করচে। মনে পড়ল ১৯১৪ সালের এমন দিনের কথা। আজ একুশ বছর আগেকার ব্যাপার। আমি তখন ফাস্ট ইয়ারের ছাত্র, সবে কলকাতায় এসেচি—এই রকম ধোঁয়া দেখে মন তখন দমে যেত । নতুন এসেচি গাছপালা ও ইছামতী নদীর সংসগ* ছেড়ে । তারপর কতদিন কেটে গেল—কত বিপদ, আনন্দ, দুঃখ ও আশার মধা দিয়ে। তখন আমরা সবাই তরণ । The world was very young then—মামাদের তখনও বিয়ে হয় নি । এই বৈশাখে ছোটমামার বিয়ে হোল। এখন মন পরিণত হয়েচে–কত ভুল শুধরে নিতে পেরেচি, অপরের মত সহ্য করবার ক্ষমতা অভ্যাস করেচি—আমার মনে হয় জীবনে এই জিনিসটাই সব চেয়ে বড় । Intolerence-এর চেয়ে বড় শত্র জীবনে আর কিছু নেই। ইউনিভাসিটির আলোগুলোর দিকে চেয়ে সেই সব দিনের কথাই মনে পড়ছিল, সঙ্গে সঙ্গে আনন্দও পেলাম খুব । জীবনের একটা গভীরতার দিক আছে, সেটা সব সময় আমাদের চোখে পড়ে না—এই রকম নিজনে বসে না ভাবলে । কাল মতিলাল ও আমি ইম্পিরিয়াল লাইব্রেরী থেকে বেরিয়ে কাজ’ন পাকে অনেকক্ষণ বেড়ালম ও গল্প করলাম, মতিলাল আমার ক্লাসফ্রেড, ও কলেজ থেকে বার হয়ে কিস্ত বিবাহ বা চাকরি করলে না, পৈতৃক কিছয় টাকা আশ্রয় করে আজ ষোলো বছর ধরে ইপিরিয়াল লাইব্রেরীতে পড়চে—জানবার জন্যে যে, মানুষের আত্মা সত্যিই অমর কি না । ও বললে, মা মারা যাওয়ার পরে এ প্রশ্ন আমার মনে জাগে-তারপর ঢুকলম ইম্পিরিয়াল লাইব্রেরীতে, নিজেও অনেক বই কিনেচি । বললাম—কি সিদ্ধান্তে উপনীত হলে ? ও বললে—মানষের আত্মা অমর। আমার আর কোনো সন্দেহ নেই। —তা তো হোল, কিন্ত জীবনটাকে দাখো এইবার । পড়াশনো করেই জীবন কাটালে, এবার সংসার কর । জীবনের অভিজ্ঞতা কোথায় তোমার ? মতিলাল বললে—এবার ইপিরিয়াল লাইব্রেরী ছাড়বো। একখানা বই লিখচি এ বিষয়ে । সেখানা শেষ হতে আর বেশী দেরি নেই। এবার ছাড়বো । তারপর ওখান থেকে ইডেন গডেনে বেড়াতে গিয়ে দেখি শেরিফ বড়লাটকে যে গাডেনপাটি দিচ্ছে সেই উপলক্ষে বাগানে চমৎকার আলো দিয়ে সাজিয়েচে-গাছপালার ফাঁকে পণচন্দ্র উঠচে যখন ঝিলের ধারে ফুটন্ত ফুলগুলোর সামনে দাঁড়িয়ে আছি। ওখান থেকে গিয়ে মাঠের মধ্যে ক্লাবের সাদা বেঞ্চির ওপর বসলমে—সামনেই পণি'মার চাঁদ । হানটা নিজজ'ন—কেবল আধজ্যোৎস্না অন্ধকারের মধ্যে একজন অশ্বারোহী পলিস এল; গেল । আধঘণ্টা পরে লড রবার্টস-এর প্রতিমাত্তি'র পাদপীঠে গিয়ে দেখি শুধ; গিরিশ বোস এসে শয়ে আছেন, ডাঃ রায়ের চাদর পাতা, কিস্ত তিনি বালিগঞ্জে গিয়েচেন এখনও আসেন নি।