পাতা:বিভূতি রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪৮৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অভিযাত্রিক 8\ჯyტ হয়ে গিয়ে একটা ধারনা পার হয়েচে, তারপর খানিকট সমতল প্রান্তর, ইতস্তভ ছোট-বড় শিলাখণ্ড ছড়ানো । সেই মাঠের মধ্যে বেলা পড়ে এল। মেঘাচ্ছন্ন আকাশের তলায় সন্ধ্যার অন্ধকার ক্রমশ ঘন হয়ে নামচে । আমার ডুলির পেছনে পেছনে ওদের মধ্যে তৃতীয় ব্যক্তিটি আমার জিনিসপত্র মাথায় করে নিয়ে আসছিল। তাকে দেখে আমার মনে হল লোকটি নিতান্ত ক্ষীণজীবী, দুর্ভিক্ষের আসামী। ডুলিবাহকদের একজনকে বললুম, এ বেচারী মোট বইতে পারচে না ; তোমরা কেউ জিনিস নিয়ে ওর কাধে ভুলি দাও। তারা হেসে বললে—বাবু, চুপ করে বসুন, ও একজন ভালো শিকারী। গায়ে ওর খুব জোর—কোনো ভাবনা নেই। -कि निकांद्र करव्र ? —হরিণ মারে, ভালুক মারে। সব কিছু মারে— —কোন জঙ্গলে শিকার করে ? —আপনি যেখানে যাবেন বাবু, সেখানে খুব বড় জঙ্গল আছে। সেখানে ও গিয়েচে অনেকবার। ” শুনে লোকটার প্রতি আমার যথেষ্ট শ্রদ্ধা হল। ওর দিকে ভালো করে চেয়ে দেখলুম, গায়ে চর্বি বোধহয় এক আউন্সও নেই, কিন্তু লোহার তারের মতো শক্ত দড়ি-দড়ি হাত-পা । গলাটা যেন একটু বেশি লম্বা, চক্ষুদুটির দৃষ্টি তীক্ষ, গলার হাড় বেরুনো, চেহারায় দস্তুরমত বিশেষত্ব আছে। বার বার চেয়ে দেখতে ইচ্ছে হয়। পথে বেশ অন্ধকার হল । আমার একটু ভয় যে হয়নি, একথা বললে মিথ্যে কথা বলা হবে। সঙ্গে তিনজন অপরিচিত লোক, স্বটকেসে কিছু টাকা-কড়িও আছে, জামায় সোনার বোতাম আছে, হাতঘড়ি আছে, এই পাহাড়ী জায়গায় এদের বিশ্বাস কি। জিজ্ঞেস করলুম—মানূসার আর কতদূর হে ? —আর বাৰু ভিন মিল। ওদের তিন মিল আর শেষ হয় না, তারপর দুঘণ্টা কেটে গেল। ডুলির বাইরে বড় অন্ধকার হয়ে এসেচে, কিছু দেখা যায় না, তবে মনে হচ্চে মাঝে মাঝে শালবন, মাঝে মাঝে ছোট বড় পাহাড় পড়চে রাস্তার দু-ধারে, ঝরনার জলের শব্দও পাচ্চি। আজ দেবীপক্ষের সপ্তমী, অথচ মাঠ বন ঘুট-ঘুটে অন্ধকার। . আরও কিছুক্ষণ পরে দূরে অন্ধকারের মধ্যে দু একটা আলো দেখা গেল। একটা ছোটমতো খালের হাটুজল পেরিয়ে আমরা মানুসারে পৌছেগেলুম। ওরা বললে—বাবু, আপনাকে থাকবার জায়গায় দিয়ে আলি। কাল সকালে এসে আবার আমরা দেখা করবো । ७क?ो दफ़ छांणांषरब्र ७द्रां जांयांब्र निदब cत्रण । षटद्वद्र गांधानप्ले ५टकदांtब मैंक, ठिन