পাতা:বিভূতি রচনাবলী (প্রথম খণ্ড).djvu/২১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Sb विष्ट्रप्डि-ब्रष्नांनी BBB G BiBOL g BiuuBDD BB BBB D GBDLSS SLgg BBB BB BLD G কতদিন লুদ্ধচিত্তে সাতুনের পশ্চিমের ঘরটায় যাতায়াত করিয়াছে। স্থা একখানা একটু আধটু পড়িয়াছেও। কিন্তু সন্তু নিজে তো পড়েই না, তাহাকেও পুড়িতে দেয় না। নায়কের ঠিক সঙ্কটময় মুহূৰ্ত্তটিতেই হাত হইতে বই কাঢ়িয়া লইয়া বলে-রেখে দে অপু, এ সব ছোট কাকার বই, ছিড়ে যাবে, দে । অপু হাতে স্বৰ্গ পাইয়া গেল। প্রতিদিন দুপুরবেলা আলমারী হইতে বাছিযা এক একখানি করিয়া বই সস্তুর নিকট হইতে t EEY DDBK B BDLDTLOiLBS LLLLL S SZBS EBD S DDLB উপর উপুড় হইয়া শুইয়া একমনে পড়ে। বই অনেক আছে-প্ৰণয়-প্রতিমা, সরোজ-সরোজিনী, কুকুম-কুমারী, সচিত্র যৌবনে যোগিনী নাটক, দম্য-দুহিতা, প্ৰেম-পরিণাম বা অমৃতে গরল, গোপেশ্বরের গুপ্তকথা • • •লে কত নাম করিবে । এক-একখানি করিয়া সে ধৱে, শেষ না করিয়া আর ছাড়িতে পারে না। চোখ টাটাইয়া উঠে, ব্লগ টিপটপ করে , পুকুৱধারের নির্জন বঁাশবনের ছায়া ইতিমধ্যে কখন দীর্থ হইয়া মজা পুকুরটার পাটা-শেওলার দামে নামিয়া আসে, তাহার খেয়ালই থাকে না কোন দিক দিয়া বেলা গেল । কি গল্প ! সবোজিনীকে সঙ্গে লইয়া সরোজ নৌকাযোগে মুর্শিদাবাদে ঘাইতেছেন, পথে নবাবের লোকে নৌকা লুটিয়া তাহদের বন্দী করিল। নবাবের হুকুমে সরোজের হুইয়া গেল প্ৰাণদণ্ড, সরোজিনীকে একটা অন্ধকার ঘরে চাবিতালা বন্ধ করিয়া রাখিয়া দিল। গভীর রাত্রে কক্ষেয় দরজা খুলিয়া গেল, নবাব মত্ত অবস্থায় কক্ষে প্ৰবেশ করিযী বলিলেন-সুন্দরি, আমার হকুমে সরোজ মরিয়াছে, আর কোন-ইত্যাদি। সরোজিনী সদৰ্পে ঘান্ড র্যাকাইয়ােবলিলেন-য়ে পিশাচ, রাজপুত রমণীকে তুই এখনও চিনিস নাই, এ দেহে প্ৰাণ থাকিতে-ইত্যাদি। এমন সময় কাহার তীম পদাঘাতে কারাগারের জানালা ভাঙিযা গেল। নবাব চমকিযা উঠিয়া দেখিলেন-একজন জটাজটধারী তেজঃপুঞ্জ কলেবর সন্ন্যাসী, সঙ্গে যমদূতের মত বলিষ্ঠ চাৰিপাঁচজন লোক। সন্ন্যাসী রোষকষায়িত-নয়নে নবাবের দিকে চাহিয়া বলিলেন-নৱাধিম, রক্ষক হইয়া ভক্ষক ? পরে সরোজিনীর দিকে চাহিয়া বলিলেন-মা, আমি তোমার স্বামীর গুরুযোগানন্দ স্বামী, তোমার স্বামীর প্রাণহানি হয় নাই, আমার কমণ্ডলুব্ধ জলে পুনর্জীবন লাভ করিয়াছে, এখন তুমি চাল মা আমার আশ্রমে, বৎস সয়োজ তোমার অপেক্ষা করিয়া আছে।-- গ্ৰন্থকারের লিপিকৌশল সুন্দর-সরোজের এই বিস্ময়জনক পুনরুজীবন আৱও বিশদভাবে ফুটাইবার জন্য তিনি পরবর্তী সুধায়ের প্রতি পাঠকের কৌতুহল উদ্দীপ্ত করিয়া বুলিতেছেনএইবার চল পাঠক, আমৱা দেখি বধ্যভূমিতে সরোজের প্রাণদণ্ড হুইবার পর কি উপায়ে গুহার পুনর্জীবন লাভ সম্ভব হইল-ইত্যাদি। এক-একটি অধ্যায় শেষ করিয়া অপুর চোেখ ঝাপসা হইয়া আলে,-গলায় কি যেন আটকাইয়া যায়। আকাশের দিকে চাহিয়া সে দুই-এক মিনিট কি ভাবে-আনন্দে, বিস্ময়ে, উত্তেজনায় তাহার দুই কান দিয়া যেন আগুন বাহির হইতে থাকে, পরে রুদ্ধ নিঃশ্বাসে পল্পকাৰী