পাতা:বিভূতি রচনাবলী (প্রথম খণ্ড).djvu/৫০৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিভূতি-রচনাবলী “পথের পাঁচালী’র পরিবস্থিত দ্বিতীয় সংস্করণ : ‘আশ্বিন ১৩৩৯, ইং ১৯৩২। দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের সময় মুদ্রণের কাগজ দুপ্রাপ্য ও দুর্ঘট হওয়ায় বিখ্যাত পুস্তক প্রকাশক “মিত্র ও ঘোষ” হাফ ফুলৰূেপ সাইজে পথের পাঁচালী’ মূদ্রণ করিয়াছিলেন। ঐ সময়ে “মিত্র ও ঘোষের কর্ণধার শ্ৰীযুক্ত গজেন্দ্ৰকুমার মিত্র ও শ্ৰীযুক্ত সুমথনাথ ঘোষের আন্তরিক আগ্ৰহে। হাফফুলস্কেপ সাইজে বিশেষ ধরণের হাতে তৈয়ারী কাগজে রেক্সিনে বাধাই অতি সীমিত সংখ্যক রাজসংস্করণ পথের পাঁচালী’ মুদ্রিত হয়। প্রতিটি রাজসংস্করণ পথের পাঁচালী’র আখ্যাপত্রে বিভূতিভূষণ স্বহন্তে নিজ নাম স্বাক্ষর করিয়া দিয়াছিলেন। ‘বিচিত্ৰ' তৎকালীন অভিজাত-সমাজের মুখপত্র বলিয়া পরিগণিত ছিল। ‘পথের পাঁচালী’ ‘বিচিত্রায় প্ৰকাশের সঙ্গে সঙ্গেই পাঠকের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। “পথের পাঁচালী’ সম্পর্কে কিছু কথা গ্ৰন্থ-পরিচয়ে দেওয়া আবশ্যক। ভাগলপুরে থাকিতে বিভূতিভূষণের কেবলই গ্রামের কথা মনে পড়িত। পূর্বেই শিক্ষার কালে পিতৃবিয়োগ হইয়াছে, কয়েক বৎসর আগে মাতা ও প্ৰথমা স্ত্রী মারা গিয়াছেন। বিভূতিভূষণ সাংসারিক জীবন সম্পর্কে আকর্ষণ হারাইয়া ফেলিতেছিলেন। কাৰ্য্যব্যাপদেশে ভাগলপুর জেলার জঙ্গলমহলে থাকার সময়ে বোধ করি নিজের শৈশবকাল স্মরণ করিয়াই ‘‘পথের পাঁচালী” লেখা আরম্ভ করেন। এ প্রসঙ্গে বিভূতিভূষণ বিভিন্ন সময়ে তাহার দিনলিপি এবং চিঠিপত্রে উল্লেথ ও আলোচনা করিয়াছেন, প্রাসঙ্গিক বোধে সে-সব রচনা হইতে এখানে কিছু কিছু উদ্ধৃতি দেওয়া হুইল । কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক ‘‘পথের পাঁচালী’র রচনাংশ “অপুত্র পাঠশালা” নামে ম্যাট্রিকুলেশন পরীক্ষার পাঠ্যপুস্তকের অস্তুভুক্ত হইলে কবি কালিদাস রায় কৰিশেখর ‘পথের পাঁচালী” ও “অপুর পাঠশালা” সম্পর্কে জিজ্ঞায় হইয়া পত্র লিখিলে বিভূতিভূষণ তঁহাকে যে পত্ৰ দিয়াছিলেন তাহtয় অনুলিপি * * “পথের পাঁচালীর গ্ৰাম্য চিত্রগুলি সবই আমার স্ব গ্রাম বারাকপুরের। জেলা যশোহর । siहमझ नह5ई हैंछांयर्थी नौ । “আমি নিজে ছেলেবেলায় যে গুরুমশায়ের পাঠশালাতে পড়েছিলাম, তার নাম প্ৰসন্ন গুরুমহাশয়, কিন্তু তার বাষ্ঠী ছিল হুগলীর দু মাইল দূরে কেওটা নামক গ্রামে। বাল্যে আমি কেওটাতে মামার বাড়ী থাকতাম মাঝে মাঝে-বাবাও সেখানে বাসা করে অনেকদিন ছিলেন। প্ৰসন্ন গুরুমহাশয়ের মুদীয় দোকান এবং পাঠশালা ছিল। ঐ গ্রাম থেকে চলে এসে আমি স্বগ্রাম বারাকপুরে হরি পোড়া বা হরি রায় নামক এক গুরুমহাশয়ের পাঠশালায় ভষ্টি হুই। অপুত্র পাঠশালার পটভূমি এই হরি রায়ের পাঠশালার অনুরূপ। অমনি বনভূমির মধ্যে পাঠশালাটি ছিল--দ্বিগ্রামে আমার পৈতৃক ভিটায় পাশেই । হুরি রায় মহাশয়ই শ্ৰতিলিখন দিয়েছিলেন-প্ৰসন্ন গুরুমহাশয় নন। আমি বাল্যের অভিজ্ঞতায় এই দুই পাঠশালাকে জড়িয়েছি। SD EDBBS BDDS tE BBB BE DDD K DDDBB t SLLDB DBBL BDD পিয়েছে। ও-নামের কোন মানুষ আমাদের গ্রামে ছিল না, তবে ঐ ধরণের কথা বলতে