পাতা:বিভূতি রচনাবলী (ষষ্ঠ খণ্ড).djvu/১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তাদের সেই হাসিতে আশ্রতে বিশ্বাসে মমতাতেই বিশ্ববিধাতার মহাতিপ্রায় প্রকাশমান। সে প্রকাশ প্রসন্ন সরল নিরুদ্বেগ ও মসৃণ, বিভূতিভূষণ অন্তত তাই বোঝেন। মানব-সত্যকে— সমাজ সত্য থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন করে—এই রহস্তাচ্ছন্ন দৃষ্টিতে মানুষকে দেখাই বিভূতিভূষণের প্রায় স্বভাব। ‘পল্লীসমাজের স্বম্পষ্ট কঠোর বাস্তবতা, দুই মহাযুদ্ধের বিপুল বিস্ফোরণ, সভ্যতার বিপর্যয়, জাতীয় জীবনে আত্মপ্রকাশের আলোড়ন,—কিছুতেই বিভূতিভূষণের ষায় আসে না। এমন কি, ব্যক্তিজীবনের তীব্র-জটিল গতি-জীবনের প্রায় সমস্ত দুর্যোগ, কালের সমস্ত উদ্বেলতা—তার দৃষ্টির অগোচর। তার আবেগলালিত নায়কেরা বিস্ময়বিমুগ্ধ শিশু, অশাস্ত কৈশোর ও দুরন্ত যৌবনের মধ্যে দিয়ে মাস্থ্য হয়ে উঠতেও ভুলে গিয়েছে। বিস্ময়-বোধ ও রহস্তান্তভূতিতে তারাও চিরশিশু। এই ষষ্ঠ খণ্ডের গ্রন্থ তিনখানায় আমরা বিভূতিভূষণের এই স্বকীয় জীবনদৃষ্টিরই পরিচয় •ifề I "Short and simple annals of the poor” ồf# a #R đ#*RI fR# ! রোমাটিক বিস্ময়-বোধ ও কবিচেতনাকে এসব নবেলের ক্ষেত্রে অনেকটা নেপথ্যে রাখতে হয়েছে। মূলত, ‘সামান্তের মধ্যে অসামান্তের উদ্‌ঘাটনই এর মর্মকথা। বাহত, তা বাঙলা দেশের অতি সাধারণ নরনারীর অতি সরল হৃদয়-মনের কাহিনী, চোখে বা প্রতিদিন দেখা যায়, কিন্তু দেখবার মত মন নেই বলে যা আমরা দেখেও দেখি না, অথবা দেখেও তার তাৎপর্ব বুঝি না, তার অসামান্তত অনুভব করতে পারি না, বিভূতিভূষণের চোখ তা এড়িয়ে স্বায় না। তার দৃষ্টির সতত, তার মনের সারল্যের মতই এ ক্ষেত্রে অকুষ্ঠিত। কারণ দেখবার মত শুধু দৃষ্টিই তো না, মনও ষে তার আছে। তাই দেখতেও তার পরম আগ্রহ ; সমস্ত খুঁটিনাটি ছোট কথা, সুখ-দুঃখেই তিনি পরম উৎসুক। তিনি বলতে পারেন—সততার সঙ্গেই বলতে পারেন,—এই বাঙলাদেশের নগণ্য সাধারণ মানুষের জীবনও অদ্ভূত, ‘ধা দেখেছি, বা পেয়েছি (নিজের অস্তমুখী দৃষ্টতে) তুলনা তার নাই। সত্ব কৌশলে জীবনের এই বিশেষ রূপটি—সমস্ত সহজ খুঁটিনাটি স্বদ্ধ-বিভূতিভূষণ এ ক্ষেত্রে প্রত্যক্ষ করে তুলেছেন। এ কলা-কৌশল,—বাস্তববাদীর নয়, তা বলা নিম্প্রয়োজন—সহৃদয় শিল্পীর। মহৎ স্বষ্টি নয়, কিন্তু এসব সফল বচন, সততায় পার্থক। । (e) ঘটনার ঘনঘটা বিভূতিভূষণের কোনো উপন্যালে বিশেষ নেই—বিপিনের সংসারে ও নেই। অজস্রতা আছে, সাধারণ নিয়মেই তা আসে, সে নিয়মেই ছোটখাটো জটিলতাও জোটে। বিপিনের সংসারে তা যথেষ্ট —নিম্ন-মধ্যবিত্ত ব্ৰাহ্মণ বংশের গ্রাম্য যুবক বিপিন, ক্ষুদ্র এক জমিদারের নায়েব বিনোদ চাটুজ্জের জ্যেষ্ঠ পুত্র। শিক্ষাদীক্ষা সামান্ত, প্রায় অপদার্থ হতে বসেছিল। পিতার মৃত্যুতে ৰে সামান্য বিত্ত-বিষয়ের সে অধিকারী হয়, প্রথম ধৌবনেই প্রায় নির্বোধের মত নেশায় ও মেয়েমানুষে তা উড়িয়ে দিয়েছে। তারপরে মধ্য ধৌবনেই এখন বৃদ্ধ মা, ! it 限, 参