পাতা:বিভূতি রচনাবলী (ষষ্ঠ খণ্ড).djvu/৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

静 আদর্শ হিন্দুহোটেল ১৩৫ আপাততঃ—তখন অপরের দুঃখের কাহিনী শুনিয়া লাভ কি ?••• বাসায় ফিরিতেই সে এমন একটি দৃগু দেখিল যাহাতে সে একটি অদ্ভূত ধরনের আনন্দ ও তৃপ্তি অনুভব করিল। বাহিরের দিকে ছোট ঘরটার মধ্যে টেপির গলা । সে বলিতেছে—নরেনদা, চা না খেয়ে কিছুতেই আপনি এখন যেতে পারবেন না। বস্থন । নরেন বলিতেছে—না, একবার এ-হোটেলে যেতে হবে, তুমি বোঝ না আশা, ইট্টিশানের হোটেল এখন তো বন্ধ—কিন্তু মামাবাবু আসবার আগে এ-হোটেলের সব দেখাগুনে আমার করতে হবে। টেপির ভাল নাম যে আশালতা, হাজারি নিজেই তা প্রায় ভুলিতে বসিয়াছে—নরেন ইতিমধ্যে কোথা হইতে তাহার সন্ধান পাইল । টেপি পুনরায় আবদারের স্বরে বলিল—না ওসব কাজটাজ থাকুক, আপনি আমাকে আর মাকে টকি দেখাতে নিয়ে যাবেন বলেছিলেন—আজ নিয়ে যেতেই হবে। -कि व्षां८छ् श्रांछ ? —আনব ? একখানা টকির কাগজ রয়েছে ও ঘরে । ঢাক বাজিয়ে কাগজ বিলি ক’রে যাচ্ছিল ওবেলা, খোকা একখানা এনেছে— —যাও চটু করে গিয়ে নিয়ে এস। হাজারির ইচ্ছা ছিল না উহাদের কথাবার্তায় সে বাধা দেয়। এমন কি সে একপ্রকার নিঃশবেই রোয়াক পার হইয়া যেমন উত্তরের ঘরটার মধ্যে ঢুকিয়াছে, অমনি টেপি টকির কাগজের সন্ধানে আসিয়া একেবারে বাবার সামনে পড়িয়া গেল। টেপি পাছে কোনপ্রকার লজ্জা পায়—এজন্য হাজারি অন্যদিকে চাহিয়া বলিল—এই যে টে পি । তোর মা কোথায় ? টেপি হঠাৎ যেন কেমন একটু জড়সড় হইয়া গেল। মুখে বলিল—কে, বাবা ! কখন এলে ? টের পাই নি তো ? হাজারির কিন্তু মনে হইল টেপি তাহাকে দেখিয়া খুব খুশি হয় নাই। যেন ভাবিতেছে, আর একটু পরে বাবা আসিলে ক্ষতিটা কি হইত। হাজারির বুকের ভিতরটা কোথায় যেন বেদনায় টনটন করিয়া উঠিল। মেয়েসস্তান, আহা বেচারী ! সব কথা কি ওরা গুছিয়ে বলতে পারে, না নিজেরাই বুঝিতে পারে ? টেপি কি জানে তার নিজের মনের খবর কি ? হাজারি বলিল—আমি এখুনি হোটেলে বেরিয়ে যাব টেপি । বেলা পাচটা বেজে গিয়েছে, আর থাকলে চলবে না । এক গ্ল{স জল বরং আমায় দে– ওদ্বর হইতে নরেন ভাকিয়া বলিল—মীমাবাবু কখন এলেন ? হাজারি ৰেন পূৰ্ব্বে নরেনের কথাবাৰ্ত্ত শুনিতে পায় নষ্ট বা এখানে নরেন উপস্থিত আছে সে-বিষয়ে কিছু জগণিত না, এমন ভাব দেখাষ্টয়া বলিল—কে নরেন ? কখন এলে বাবাজী ?