পাতা:বিভূতি রচনাবলী (ষষ্ঠ খণ্ড).djvu/৫৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আদর্শ হিন্দুহোটেল $☾ó কুক্কম এ কয়দিন এ বাসাতেই বিবাহের আয়োজনের নানারকম বড়, ছোট, খুচরা কাজে সারাদিন লাগিয়া থাকে। হাজারি তাহাকে বাড়ী যাইতে দেয় না, বলে—ম, তুমি তো আমার ঘরের লোক, তুমি থাকলে আমার কত ভরসা। এখানেই থাক এ ক’টা ज़िन । বিবাহের পূর্বদিন হাজারি অতলীর চিঠি পাইল। সে কৃষ্ণনগর লোকালে আসিতেছে, স্টেশনে যেন লোক থাকে । আর কেহ অতসীকে চেনে না, কে তাহাকে স্টেশন হইতে চিনিয়া জানিবে, হাজারি নিজেই বৈকাল পাচটার সময় স্টেশনে গেল । ইন্টার ক্লাস কামরা হইতে অতসী আর তাহার সঙ্গে একটি যুবক নামিল। কিন্তু তাহাজের অভ্যর্থনা করিতে কাছে গিয়া হাজারি বাহা দেখিল, তাহাতে তাহার মনে হইল পৃথিবীর সমস্ত আলো যেন এক মুহূর্তে মুছিয়া লেপিয়া অন্ধকারে একাকার হইয়া গিয়াছে তাহার চক্ষুর সম্মুখে । অতসীর বিধৰা বেশ । অতসী হাজারির পায়ের ধুলা লইয়া প্ৰণাম করিয়া বলিল—কাকাবাবু, তাল আছেন ? BB BBBDYBBBS B BBBB BBBBBS BBBBB BBBS BBB BB BBB রইলেন কেন ? —নী—মা—ইয়ে, চলো—এস । —ভাবছেন বুঝি এ আবার ঘাড়ে পড়ল দেখছি । দিয়েছিলাম একরকম বিদেয় ক’রে আবার এসে পড়েছে সাত ৰোঝা নিয়ে—এই না ? বাবা-কাকারা এমন নিষ্ঠুর বটে । হাজারি হঠাৎ কাদিয়া উঠিল । এক প্র্যাটফৰ্ম্ম বিন্মিত জনতার মাঝখানে কি ষে তাহার মনে হইতেছে তাহা সে কাহাকেও বুঝাইয়া বলিতে পরিবে না । মনের কোন স্থান যেন হঠাৎ বেদনায় টন টন করিয়া ভাঙিয়া পড়িতেছে । অতসীই তাহাকে শাস্ত করিয়া নিজের আঁচলে তাহার চক্ষু মুছাইয়া প্ল্যাটফর্ম হইতে বাহির করিয়া আনিল । রেলওয়ে হোটেলের কাছে নরেন উহাদের অপেক্ষায় দাড়াইয়া ছিল । সে হাজারির দিকে চাহিয়া দেথিল হাজারিয় চোখ রাঙা, কেমন এক ভাব মুখে । অতসীর বিধবা বেশ দেখিয়াও সে বিস্মিত না হইয়া পারিল না, কারণ টেপির কাছে অতসীর সব কথাই সে শুনিয়াছিল ইতিমধ্যে—সবে আজ ৰছর তিন বিবাহ হইয়াছে তাহাও শুনিয়াছিল । অতসীদি বিধবা হইয়াছে এ কথা তো কেহ বলে নাই । বাড়ী পৌঁছিয়া অতসী টেপিকে লইয়া বাড়ীর ছাদে অনেকক্ষণ কাটাইল । দুজনে বহুকাল পরে দেখা—সেই এড়োশোলায় আজ প্রায় তিন বছর হইল তাহাজের ছাড়াছাড়ি, কত কথা ষে জমা হইয়া আছে ! টেপি চোখের জল ফেলিল বাল্যসর্থীর এ অবস্থা দেখিয়া । অতসী বলিল—তোরা ঘদি সবাই মিলে কাল্পাকাটি করবি, তা হ’লে কিন্তু চলে যাব ঠিক বলছি। এলাম