পাতা:বিভূতি রচনাবলী (সপ্তম খণ্ড).djvu/১৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিভূতি-রচনাবলী এই স্কুলের ভার সাহেব যতদিন হইতে লইয়াছেন, মেমসাহেবেরও চাকরি এখানে ততদিন । চায়ের মজলিলে সে দিন মাস্টারের সংখ্যা কিছু বেশী ছিল। জ্যোতিবিনোদ বলিলেন, আজ আলমের মনস্কামনা পূর্ণ হল। ক্ষেত্রবাবু যতখানি সাহেবের পক্ষ হইয়া তদ্ধির করিয়াছিলেন, মিস সিবসনের পক্ষ হইয়া তাহার অৰ্দ্ধেক ও করেন নাই। মেমসাহেব যাওয়াতে তিনি ততটা দুঃখিত হন নাই, ভাবগতিক দেখিয়া মনে হইবার কথা। তিনি বলিলেন, তা বটে, তবে আমার মত যদি জিগ্যেস কর— এ চালট। ওদের খুব গভীর। শরৎবাবু জিজ্ঞাসা করিলেন, কী রকম ? —এতে সাহেবকেও তাড়ানো হল । সকলে একসঙ্গে জিজ্ঞাসা করিলেন, কেন ? কেন ? —লাহেব একা এখানে থাকতে পারবে না। —ত ছাড়া মেম বেচারীই বা যায় কোথায়? ও তো খুব গরীব ছিল শুনেছি। —শুনচি মেম দাজিলিং গিয়ে থাকবে । —খরচ ? —দাৰ্জিলিং ল্যাঙ্গোয়েজ স্কুলে টিচার হবে। মিশনারী সোসাইটিকে সাহেব লিখেছিলেন ওর জন্যে, তারা সব ঠিক ক'রে দিয়েছে। মেমসাহেব যে খুব ভাল টীচার ও ভাল লোক এ বিষয়ে সকলেই দেখা গেল একমত। স্কুলের ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা মিস, সিবসনকে খুব ভালবাসে, তাহারা নিজেদের মধ্যে চাদা তুলিয়া নিজেদের ক্লাসের এক গ্রুপ ফটো মেমসাহেবকে উপহার দিয়াছে। একজন কে বলিল, ও ভালই হয়েছে, আমাদের মাইনে পঁচিশ-ত্রিশ—আর মেমসাহেবের মাইনে আশী। অথচ তিনি ইনফ্যান্ট ক্লাসে পড়াবেন। কেন, আমরা কি বানের জলে ভেসে এসেচি! তোমাদের স্লেভ মেটালিটি কতদূর হয়েচে, তা বুঝতে পারছ না। এ কাজটা মি: श्रांजय ठेिकई कtज्ञा5 । ক্ষেত্রবাবু বোধ হয় এইটুকুর.অপেক্ষা করিতেছিলেন। বলিলেন, আমারও তাই মত। এবার মিঃ আলমের এতটুকু অন্যায় হয় নি। তাই বুঝে এবার তদ্ধিরও করি নি। এট আলমের স্থায্য কাজ । চায়ের দোকান হইতে ক্ষেত্রবাবু বাসায় ফিরিলেন। অনিলা স্বামীকে চা করিয়া দিয়া বলিল, কী খাবার যে দেব ? মুড়ি রোঙ্গ রোজ খেতে পার কি ? ভেবেছিলাম একটু চালুয়া— —হ্যা, হালুয়া । ট্রিকু সব খরচ করে না ফেললে তোমার—

  • –তুমি তো আধ সের করে মাসে দেবে বলেছ, তার মধ্যেই আমি—