পাতা:বিভূতি রচনাবলী (সপ্তম খণ্ড).djvu/১৮৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

—ওর দরের লোকের সঙ্গে কি আমাদের বনে ? ওই দেখ না কেন, দুটো ছেলে রয়েচে, আমি তার বাড়ীর পাশে একজন কলকাতার বড় স্কুলের মাস্টার, পড়া না কেন টুইশালি ? দে না দশটা টাকা মাসে ? এমন পাবি কোথায় তোদের এই পাড়াগায়ে । পেটে বিষ্ঠে থাকলে তবে তো ! রেল-আপিলের কেরানী আর কত ভাল হবে । অবনীর দিদিকে চিঠি লেখা হইল, কিন্তু কোন উত্তর-পাওয়া গেল না । ইতিমধ্যে যদুবাৰু একদিন হঠাৎ জর হইয়া অজ্ঞান হইয়া পড়িলেন। যত্নবাৰুর স্ত্রী গিয়া অবিনাশবাবুর স্ত্রীর কাছে কাদিয়া পড়িলেন। অবিনাশবাৰু তখন অফিস হইতে ফেরেন নাই, তাহার চাকর পাঠাইয়া পাশের গ্রামের ভূষণ ডাক্তারকে ডাকাইয়া আনিলেন। ভূষণ ডাক্তার আসিয়া রোগী দেখিয়া বলিলেন, মাথায় হঠাৎ রক্ত উঠিয়া এমন হইয়াছে। খুব সাবধানে থাকা দরকার। চিকিৎসাপত্র করিয়া কথঞ্চিৎ স্বম্ব করিতে যন্ধুবাবুর স্ত্রীকে শেষ সম্বল হাতের রুলি বিক্রয় করিতে হইল। - এই সময় হঠাৎ একদিন অবনী আসিয়া হাজির। সে একটা পুটুলি হইতে গোটাকয়েক কমলালেবু c পোয়াটাক মিছরি যন্ধুবাবুর বিছানার একপাশে রাখিয়া একগাল হাসিয়া বলিল, নিতে এসেছি দাদা, চলুন। বউদিদি দিদিকে পত্র লিখেছিলেন আপনার অমুখের খবর দিয়ে। দিদি বললেন—যাও ওদের গিয়ে এখানে নিয়ে এস। যদুবাৰু মিনতির স্বরে বলিলেন, তাই নিয়ে চল ভায়া, এখানে আমার মন টেকে না। -दछेक्षिप्ति कई ? বোধহয় ঘাটে গিয়েছে । বোস, আসছে এখুনি। অবনীকে দেখিয়া যদুবাৰু যেন হাতে স্বৰ্গ পাইলেন। নিৰ্ব্বান্ধব স্থানে তবুও একজন দেশের লোক, জ্ঞাতির সান্নিধ্যলাভ কম কথা নয়। অবনী ইহাদের সঙ্গে করিয়া বেড়াবাড়ী আনিয়া ফেলিল। যে ঘরে পূৰ্ব্বে যন্ধুবাবুর স্ত্রীর স্থান হইয়াছিল, সেই ঘরখানাতেই এবারও যদুবাবুরা আসিয়া উঠিলেন। ঘরখানা সেই রকমই আছে, বরং আরও খারাপ, আরও স্তাতসেতে। দেওয়ালে নোনা লাগার ছোপ আরও পরিস্ফুট হইয়াছে। - গ্রামে ডাক্তার নাই, আশপাশের ষোলখানা গ্রামের মধ্যে কুত্রাপি ডাক্তার নাই, দুই-এক জন হাতুড়ে বঙ্কি ছাড়া। তাদেরই একজন আসিয়া যদুবাবুকে দেখিল। পুরাতন জরে ভাত খাওয়ার পরামর্শ দিল । বলিল, নাতি-খাতি সেরে বাবে অখন, ও গরম হয়েছে, গরমের দরুন अश्थफ1 नाब्रफ़ मl । . - কলি বিক্রয়ের টাকা ফুরাইয়া আসিতেছে দেখিয়া যন্ধুবাবুর স্ত্রী স্বামীকে বলিল, হ্যা গো, কাল তো ওরা বলছিল—এক মণ চাল কিনতে হবে, অবনীর হাতে এখন টাকা নেই, তা তোমার ইয়েকে একবার বল। আমি তোমাকে আর কী বলব, সব বিস্তে তো জানি। এক মণ চালের দাম দিতে গেলে তোমার ওষুধপখিার পয়ল থাকে না। অথচ ওদের ছাড়িতে খাওয়াদাওয়া, না দিলেও তো মান থাকে না। কী করি ?