পাতা:বিভূতি রচনাবলী (সপ্তম খণ্ড).djvu/৩৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

€**tशद्भिर्ण לאפי কতকগুলো পাড়াগেঁয়ে-বোঁ, তাদের মুখে চোখে না আছে বুদ্ধির দীপ্তি, না আছে কিছু, তারাই এসে স্থলেখার চারিধারে ভিড় জমালে। কলকাতার বাসাতেই বৌভাত হয়ে গিয়েছিল। কোনো আচার-অনুষ্ঠান বাকি ছিল না, থাকলে আরও বিরক্তিকর হয়ে উঠতো ব্যাপারটা । স্বামীর ছুটি নেই। তিনি তাকে পৈতৃক-বাড়ীতে প্রাচীনদের হাতে পৌঁছে দিয়েই সরে পড়লেন। মিলিটারি চাকরি, বিশেষ ছুটিছাট নেই। যদি সময় পান, পূজোর সময় আসবেন বলে গেলেন । সমীর চলে গেলে, মূলেখা কান্নায় ভেঙে পড়লে । একেবারে নিঃসঙ্গ হয়ে গেল লে । কি ভাবে দিন কাটবে এখানে বুড়িদের মধ্যে ? যারা বাইরের জগতের কোনো সংবাদ রাখে না এমন তিনকাল-গিয়ে-এককালে-ঠেক৷ দন্তহীন বুড়ীদের মধ্যে । টাকা ছিল না কাকার । নতুবা শহরে বিবাহ হোতে । যাক সে কথা । ছেলে দেখে বিয়ে দেওয়া । ছেলে সত্যিই ভালে৷ ৷ স্বামীকে সে গরপছন্দ করে নি। ভালো ছেলে, পাশকরা, স্বাস্থ্যবান । গ্রামের বাড়ী জীর্ণ বটে, কিন্তু বেশ বড় । অনেক নাকি জায়গা-জমি আছে, প্রজাপত্তর আছে, আগান-বাগান, পুকুর, বাশঝাড় আছে। বনেদি সেকেলে গৃহস্থ । তবে ওই যা কথা, সেকেলে—একেবারে সেকেলে । শাশুড়ি স্থলেখাকে দিয়েচেন একছড়া ভারি সেকেলে মুড়কি-মালা হার । দ্বিরে বলেছিলেন —বেীমা, বড় পয়মন্ত জিনিসটা । আমার শাশুড়ি আমাকে এই হার দিয়ে আশীৰ্ব্বাদ করেছিলেন, আমি তোমাকে দিলাম আবার । তুমি আবার দিও তোমার ছেলের বেীকে—জন্মোএইক্সী হও, আমার মাথায় যত চুল আছে ততদিন সমীর বেঁচে থাকুক ! স্থলেখা শাশুড়ির পায়ের ধুলো নিয়ে প্রণাম করলে। হারছড়াটা ভারি বটে, কিন্তু একালে ও হার কেউ পরে ? গৌরী কি ভাববে, কলেজের অঙ্গুদি কি ভাববে, যদি ও আজ মুড়কি-মালা হার গলায় দিয়ে কলকাতায় গিয়ে হাজির হয় ? দিন পাচ-ছয় কেটে গেল । স্থলেখাকে ভোরে উঠে কাজকর্মে বড়-জ। নীরদাকে সাহায্য করতে হয়। অবিপ্তি নতুন বউ বলে এখনো কাজের ভার তেমন ঘাড়ে চাপে নি, কিন্তু নীরদাকে দিয়ে সে বুঝতে পারে এ সংসারে পুরনো বউ হয়ে গেলে কি ধরনের খাটুনিটা আশা করা যায়। নীরদ উদয়ান্ত খাটে, টিনটিন ধান সেদ্ধ করে, বোঝা-বোঝা ক্ষার কাচে, খই মুড়ি ভাজে, দু-বেলা রান্না করতে আসে, এখন ওরা একবেলার ভার স্থলেখার উপর চাপিয়ে দিতে চেষ্টায় আছে বোধ হয়। নিতান্ত চক্ষুলজায় বলচে না । স্থলেখা রাখতে জানে না যে তা নয়—কিন্তু গেয়ে রান্না চচ্চড়ি, স্বজনি, মোচার ঘণ্ট, ঝালের ঝোল, বড়ির টক—এসব সে রাধতে জানে না । তাছাড়া, ভালোও লাগে না এসব তার । এ-ভাৰে জীবন নষ্ট করার কি মানে হয় ? दि. इ, १-२>