পাতা:বিভূতি রচনাবলী (সপ্তম খণ্ড).djvu/৪০৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

6छ्स्प्रब्रव्iा कथों क७ లిలి সিংডুমের ডিভিসনাল ফরেস্ট অফিসার মিঃ সিনহা হঠাৎ এসে হাজির ৷ পচা রায় ও আমি ওঁকে নিয়ে বেলেডাঙ্গার পুলে গেলাম। চাদ উঠেচে, আজ পূর্ণিমা। ঝাড় ঝাড় সোদালি ফুল মাঠে । কত ঝোপে ঝোপে পাক বৈচি তুলে খেতে খেতে আমরা গেলুম। ক্লাস্ত দেহে জ্যোৎস্নালোকে ইছামতীর জলে এসে নামি আমাদের বনসিমতলার ঘাটে। মিঃ সিনহা সাতার দিয়ে একেবারে ওপারে—তিত্বও ছিল উঠে মাধবপুরের সবুজ ঢেউ খেলানো ঘাসের মাঠ দেখে এল ওরা। পরদিন S, D. O.কে আনালুম, হাট থেকে ফিরে এসে দেখি S, D, O, ও স্বরেন বসে । তাদের চা খাওয়ানো গেল—নিগ্রোর প্রতি আমেরিকানদের অত্যাচারের কত কাহিনী বর্ণনা করলেন মিঃ সিন্‌হা । 龜 তার আগের দিন উষা চৌধুরী এসে হাজির । আমি নারাণদা'র শ্রাদ্ধে নিমন্ত্রণ খেতে সবে বসেচি—এমন সময় কল্যাণী চিঠি লিখে পাঠালে—মিসেস্ চৌধুরী এসেচেন। উনি এখুনি চলে যাবেন । তখুনি এসে দেখি উষা সত্যিই থাটের ওপর বসে আছে। ওকে নিয়ে আমরা সবাই গেলুম নদীর ধারে। উষা নদী দেখে খুব খুশি–বালিকার মত খুশি । অতএব বোঝা গেল বিদেশাগত দুটি লোকেরই ভাল লেগেচে আমাদের স্বচ্ছসলিলা ইছামতী —পুলিনশালিনী ইছামতী । আবার কাল কলকাতা গিয়ে সজনীর সঙ্গে উষাদের বাড়ী বেড়াতে গিয়ে বহুকাল পরে আশ্বিনী —আমাদের ৬৭, মির্জাপুর স্ত্রীটের সেই বাল্যবন্ধু অশ্বিনীর সঙ্গে দেখা । অনেকে গল্প করচি–উষারা কাল চলে যাচ্ছে লাহোরে—অনেকে দেখা করতে এসেচে—হঠাৎ ওর মধ্যে একটি লোক বল্লে—বিভূতি না ? অবাক হয়ে বললুম—চিনতে পরিচি নে তো ? —ত চিনতে পারবে কেন ? আমি অশ্বিনী । তথুনি আমি তার শার্ট ধরে টেনে আনতে আনতে বললুম—দাও দিকি আমার প্রথম বিয়ের সেই ঘড়িটা— আজ ২৭ বছর পরে দেখা-সেই সময়ই ও আমার ঘড়িটা নিয়ে গিয়েছিল— গৌরীর বাপের দেওয়া সেই পকেট ঘড়িটা ! কত বছর আগে ! মহাদেব রায়কে নিয়ে গেলুম শ্ৰীমতী বাণী রায়ের বাড়ী । চা খেয়ে কত গল্প। বেশ ভাল বেলফুল ফুটেছিল, তুলে দিলেন ওঁরা। ওঁর মা স্থলেখিকা গিরিবালা দেবী দুখানা বই উপহার দিলেন । 像 মহাদেববাবুর সঙ্গে পুরী যাওয়ার সব ঠিকঠাক হয়ে গেল। ৬ই মে রওনা হবে হাওড়া থেকে। রোজ নদীর কালে জলে গিয়ে সন্ধ্যায় নামি । কালও কুঠীর মাঠ বেড়িয়ে এলে সন্ধ্যায় স্নান করতে নামলাম আমরা দুজনে । রাঙা মেঘ করেচে সারা আকাশময়, ওপারের সাইবাবলা গাছটার ফাকে ফাকে রাঙা আলো যেন আটকে আছে। কি কালো জল ! ভগবান যেন অত্যন্ত শাস্ত রূপ ধরে আছেন—যেমন তার অত্যন্ত অপরূপ মূৰ্ত্তি দেখেছিলাম সেদিন নতিভাঙার মরাগাঙের ধারে বলে । পাশে নতিভাঙার প্রকাও বটগাছটা, ওপারে,