পাতা:বিভূতি রচনাবলী (সপ্তম খণ্ড).djvu/৪৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

¢ई उपग्नर्थी कथं क७ 8$? ঠিক সন্ধ্যায় হয়তো বনগী লিচুতলা ক্লাবে যতীনক, মন্মথদা, স্ববোধদ সব বসে গল্প করচে, অাজ বিশ বছর রোজ যে ভাবে গল্প করে, তার ব্যতিক্রম নেই। খুব ভোরে উঠেছিলুম, বেশ জ্যোৎস্নায় নীরব সামনে পৰ্ব্বত ও অরণ্য। শুকতারা জলজল করচে পূর্বদিকের আকাশে। খলকোবাদ থেকে কাঠবোঝাই গরুর গাড়ীর দল শেষরাত্রি আড়াইটায় উঠে চলেচে জেরাইকেল ৷ এখন পাচটা হবে। সকালে বনের মধ্যে বেড়াতে গিয়ে বসি, বড় বড় শালগাছ, ওদিকে বনাবৃত পৰ্ব্বত, চারিদিকেই পাহাড় ও বন, মাঝে ফাকা ক্রমনিম্ন একটু মাঠমত—সেখানে মোটা মোট শালগাছ ও শালচারা। ঘন বনে ঘেরা পৰ্ব্বতের পটভূমিতে শৈলচুড়ার একটি বড় গাছ ছোট দেখাচ্ছে। বিশ্বদেবের উপাসনা এখানেই সার্থক ও সম্পূর্ণ। চা-পানাস্তে অপূৰ্ব্ব বনপথে গাংপুর স্টেট ও সারেণ্ডার সীমানায় অবস্থিত টিকালিমার। নামক গ্রামে চললুম। এ পথ তৈরী • হয়ে পৰ্য্যন্ত বোধ হয় কখনো মোটর আসেনি, গরুর গাড়ীও চলে না, সবুজ ঘাসবনে ঢাকা রাস্তা কোনটা বন কোনটা রাস্তা চিনবার জো নেই। মনে হচ্চে যেন মাঠের মধ্যে দিয়ে গাড়ী চলেচে। দুধারে নিবিড় বন, অনেক ভাল দুগু থলকোবাদ থেকে জেরাইকেল রাস্তার চেয়ে । গরুর গাড়ীর চাকার দাগ নেই পথে, জন নেই, প্রাণী নেই, সকালের আলো এসে পড়েছে স্থদীর্ঘ ও প্রাচীন শাল, আমলকী, পাঠডুমুর, ধওড়া গাছের শীর্ষভাগে—কোথাও মোটা মোটা লতায় জড়াজড়ি করে বেঁধেছে ডালে ভালে, গুড়িতে গুড়িতে, দেবকাঞ্চন ফুল ফুটেচে সৰ্ব্বত্র, শিউলি গাছের কত জঙ্গল, এত শিউলি গাছ এদিকের বনে যে এমন অন্য কোথাও দেখিনি, কোথাও ফলে ভরা আমলকীর ডাল পথিপার্থের বিশাল গাছ থেকে রাস্তার ওপর নত হয়ে আছে ছবির মত, কোথাও পাহাড়ী ঝর্ণ বড় বড় শিলাখণ্ডের ওপর দিয়ে ছায়ানিবিড় স্বড়ি-পথে কুলুকুলু বয়ে চলেচে, কোথাও বা একটা বন-মোরগ মোটরের শব্দে রাস্তার ওপর থেকে ওপাশের বনে উড়ে পালালো, কোথাও রাস্তা ক্রমে নামচে, নামচে, সামনে উচ্চ-বনাবৃত শৈলমালা—আমরা ঠিক যেন চলেচি পাহাড়ের গায়ে ধাক্কা মারবার জন্তে বলে মনে হচ্চে, কোথাও রাস্ত ও মোটর একেবারে ডুবে যাচ্চে গভীর বনের মধ্যে সমতল উপত্যকায়, সেখানে চারিদিকে বন ও পাহাড়ের সবুজ দেওয়াল কিছু দেখা যায় না—আবার কোথাও পাহাড়ের গায়ে উঠে চলেচি, কোথাও স্বদীর্ঘ বনস্পতিশ্রেণী ছায়াভরা বনবী থর হক্ট করেচে, গাছে গাছে চাহুড়ের লতা চুলচে। to অবশেষে আমরা বিটকেলসোয়া গ্রামে পৌঁছে গেলুম। চারিদিকে উচু পাহাড়, ছোট ছোট ছেলে-পিলে মোটরের শব্দ শুনে ছুটে এল । প্রেমানন্দ নামে একজন মুণ্ড খ্ৰীষ্টাম আমাদের সব দেখিয়ে বেড়াতে লাগলো। একটা কাঠের ও খোলার ঘরে গ্রাম্য গল । sসলাম এ গ্রামের বেশির ভাগ অধিবাসী মুণ্ড খ্ৰীষ্টান । মনোহরপুর থেকে জন নামে এক গ্রীষ্ট (এখানে পাস্ত্রীকে এই বলে ) এসে রবিবারে এদের উপাসনা করায় । প্রেমানন্দ এক সময়ে প্রচারকের কাজ করবার জন্তে এই গ্রামে এসে এখানেই রয়ে গিয়েচে । বেশ