পাতা:বিভূতি রচনাবলী (সপ্তম খণ্ড).djvu/৪৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ক্ষেত্রবাৰুবলিলেন, একেবারে লর্ড বেকন—“অন দি ৰেটারমেন্ট অক্ষ হ্যাগুরাইটিং অক্ষ সেভেনখ ক্লাস বয়েজ"। হামবাগ, কোথাকার! যদুৰাৰু বলিলেন, আর এক খোশামুদে ওই নারাণবাৰু। তোর কোনো কুলে কেউ নেই, সম্বিলি হয়ে যা। দরকার কী তোর খোশামুদির ? নীচের ক্লাসের একজন টীচার মেসে থাকিতেন। তিনি সামান্ত মাহিনা পান, মুখ ফুটিয়া বহুবাৰু বলিলেন, এই বলে কে । কই, তুমি তো মুখ ফুটে কথাটা বলতে পারলে না ভায়া সাহেবকে । - —আপনার সিনিয়র টাচার রয়েচেন, কিছু বলতে পারেন না। আমি চুনো-পুটি— আমার সাহস কী ? - —ওইতো দোষভায়৷ ওতেই তো পেয়ে বসে। প্রোটেস্ট করতে হয়—মেনেনিলেই বিপদ । —আপনার প্রোটেস্ট করুন গিয়ে দাদা, আমার স্বারা সম্ভব নয়। গ্রীষ্মের ছুটি পৰ্যন্ত প্রায়ই এই রকম চলিল। গ্রীষ্মের ছুটি আসিয়া পড়িবার দেরি নাই। ছেলের সে দিন গান গাহিবে, আবৃত্তি করিবে । দুই-একজন শিক্ষক তাহাদের তালিম দিবীর डांद्र जईग्ना ठूलग्न कांछ श्रेड जबTांशङि नारेब्रांरश्न । হঠাৎ শোনা গেল, গ্রীষ্মের বন্ধের পূর্বে মাস্টারদের মাহিনী দেওয়া হইবে না। দুই মাসের বেতন এই সময়ে একসঙ্গে পাওয়ার কথা। মোটেই পয়সা দেওয়া হইবে না। শুনিয়া মাস্টারদের মুখ শুকাইয়া গেল। হেডমাস্টারের কাছে দরবার শুরু হইল। হেডমাস্টার বলিলেন, আমি বা মিল সিবসন এক পয়সা নেব না-কেউ কিছু নিচ্ছি না। মাইনে আদায় যা হয়েছিল, কপোরেশনের ট্যান্স আর বাড়ী-ভাড়াতে গেল । দুই-একজন শিক্ষক একটু ক্ষুব্ধ স্বরে বলিলেন, আমরা তৰে খাব কি ? —আমি জানি না। আপনাদের না পোষায়, মাই গেট ইজ গুপ,নৃ— গ্রীষ্মের ছুটিতে প্রত্যেক মাস্টারের উপর দুই-তিনটি প্রবন্ধ লিখিয়া আনিবার ভার পড়িল -ছাত্রদের প্রতি কৰ্ত্তব্য, বিভিন্ন বিষয় পড়াইবার প্রণালী প্রভৃতি সম্বন্ধে। মাস্টারদের দল মুখে কিছু বলিতে পারিলেন না। মনে মনে কেহ চটিলেন, কেহ ক্ষুব্ধ হইলেন। ৰন্ধাৰুবলিলেন, ও, ভাত দেবার কেউ নয়, কিল মারবার গোসাঁই ! মাইনের সঙ্গে খোজ নেই, প্রবন্ধ লিখে নিয়ে এস-দায় পড়েচে— ক্ষেত্রবাৰু অনেক দিন পরে গ্রামের বাড়ীতে আসিলেন, সঙ্গে স্বী নিভাননী ও দুই-তিনটি ছেলে-মেয়ে ।