পাতা:বিশ্বকোষ সপ্তদশ খণ্ড.djvu/৩২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

লোম [ ৩১৮ ] লোমপাদ দ্বিপাদ ও খেচর পক্ষিজাতির ডিম্বোস্তোনের পর শাবকগুলির গাগ্রত্বকে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রোমাবলী দেখা যায়। পরে ক্রমশঃ তাহা পালকে পৰ্য্যৰলিত হইয়া মাংসপিণ্ডকে আবুত করির ফেলে। তখন আর বড় সেই লোমগুলি দৃষ্টগোচর হয় না, কিন্তু ঐ শ্রেণীর অন্তর্গত বাড় জাতির গাত্রে পালক জন্মিয় ক্রমশঃ লোমের পরিবৃদ্ধি পরিলক্ষিত হইয়া থাকে। উভচয় অর্থাৎ স্থলচর ও জলচর জীবজাতির মধ্যে বিবর, জলইঙ্গুর, ভোড়, উড়িাল গ্রকৃতি চতুষ্পদ প্রাণীর গাত্রে লোম দেখা যায়। ইহানের লোম এতাদৃশ মসৃণ যে, জলময় হইয়া উপরে উঠিলে গারলোম কাচ জলসিক্ত হয়। পদ্মানদীতীরবাসী জালিকেরা "উদ্বিড়াল” পোষে। উহার নদীবক্ষে নামিয়া মাছ তাড়াইয়া আনে । মমূল্যের কেশ, সিংহের কেশর এবং ঘোড়ার গ্রীবালোম ও বালামূৰ্চী মোটা হয় বলিয় তাহা স্বল্পকার্ঘ্যের উপযোগী নহে, উহাতে দড়ি, চেন, চেটাই প্রভৃতি বয়ন করা যাইতে পারে । উত্তর-পশ্চিম ভারতে চুলের কাছিতে নৌকা বাধ হইয়া থাকে ; কিন্তু তিব্বত, কাবুল, কান্দাহার, সমরকন্দ, কির্মাণ, বোখার প্রভৃতি শীতপ্রধান দেশজাত ছাগাদি পশুর গাত্রলোম স্বগ্নতম এবং অপেক্ষাকৃত নিবিড় হওয়ায় শাল, রামপুরী চাদর, পটু, নামদা, লুই, মলিদা, কম্বল প্রভৃতি উৎকৃষ্ট পশমী শীতবস্ত্রপ্রস্তুতোপযোগী হইয়াছে। ছাগাদির গাত্রে ঐ ঘন সন্নিবিষ্ট সুঙ্গ লোমরাঞ্জি বহুল পরিমাণে সংগ্ৰহ করিবার অভিপ্রায়ে তদেশবাসী বণিকৃগণ ছাগাদি পালন করির বৎসর বৎসর পশম ছটিয়া লইতেছে। চাঙ্গখান, তুফান ও কিৰ্ম্মাণের সাদা পশম সৰ্ব্বাপেক্ষ উৎকৃষ্ট, উহাতে একমাত্র কাশ্মীরী শাল প্রস্তুত হইয়া থাকে। উষ্ট্রের লোমেও একপ্রকার মোটা চোগ৷ নিৰ্ম্মিত হইতে দেখা যায়। পাট, শণ বা কাপাল সুত্রের সহিত রঙ্গীণ পশম বিনাইয়া বুনিলে “কাপেট নামক আসন প্রভত হয়। পারস্ত ও তুর্কিস্থানে পাটযুক্ত কাপেট-বয়নের বিস্তৃত ব্যবসা আছে ; কিন্তু গুণয়ন্তে পাকান কাপসিস্বত্র সংযোগ দ্বায়ু উক্ত দ্রব্য প্রস্তুত হইতেছে। বহু প্রাচীনকাল হইতে কাশ্মীর, পঞ্জাব, সিন্ধু, আগ্রা,মীর্জাপুর, জব্বলপুর, বয়ঙ্গল, মসলিপত্তন ও মলবার প্রভৃতি স্থানে লোমমিশ্রিত কাপেট বুনিবার কারখানা ও বাণিজ্যঞ্চেজ প্রতিষ্ঠিত ছিল। এখন প্রায় অনেক স্থলেই সেই প্রাচীন পশমী শিল্পের অবনতি ঘটিয়াছে । বারাণসীক্ষেত্রে এখনও মখমলের কাপেট ও মুর্শিদাবাদে রেশমী কার্পেট প্রস্তুত হইতেছে । [ বিবৃত্ত বিবরণ পশম ও শাল শক্ষে দেখ। ] লোমক (ত্রি) লোমযুক্ত । লোমকরণ (স্ত্রী)মাসস্থা, মাংসরোহিণী। ( রাজনি• ) লোমকর্কট (স্ত্রী) অজমোনা। (বৈঠকমি• } লোমকণ (পুং) লোমযুক্ত কর্ণে যন্ত। ১ শশক । “লম্বকৰ্ণ শশঃ শূলী লোমকর্ণে বিলেশয়ঃ।” (তাষপ্র, ) (ত্রি ) ২ লোমযুক্ত কৰ্ণবিশিষ্ট। ८लागकाशृङ् (शै)शनएच्न्। (ग ७७७०) লোমকিম্ (পুং) পক্ষী। লোমকীট (পুং ) উকুণ নামক কীট। লোমকূপ (পুং) স্বত্রন্থ, লোমের গোড়ার ছিদ্র। শরীরে যত লোম, ততগুলি লোমকূপ আছে। “সস্তি যাবস্তি রোমাণি তাবন্তি লোমকূপকাঃ।” (ভাবপ্র• ) লোমগর্ত (পুং ) লোমকূপ । লোমসু (রী) লোমানি হস্তীতি হন-টক। ১ ইন্দ্রলুপ্তক, চলিত টাক্। ( ভূরিপ্রয়োগ ) (ত্রি ) ২ লোমঘাতক, লোমনাশক । লোমন্ত্রীপ (পুং ) শোণিতজ কমিভেদ। ( চরক চি• ৭ অ• ) লোমধি (পুং ) রাজপুত্রভেদ । ( ভাগবত ১২১২৫ ) লোমন, (ক্লী) লুয়তে ছিদ্যতে ইতি ল-(নাম সীমন্‌ বোমন্‌ রোমন লোমন পাপান ধ্যামন। উণ, ৪।১৫e ) ইতি মনিন প্রত্যয়েন সাধু । ১ শরীরস্থ কেশ, পৰ্য্যায় তনুরূহ, স্তমুরুং, রোম, তমুরুট, । ( শঙ্করত্না” ) “যথোর্থলাভি: স্বজতে গৃহতে চ যথা পৃথিব্যামোষধয়ঃ প্রভবন্তি । যথা সতঃ পুরুষাৎ কেশলোমানি তথাক্ষরাৎ সন্তবর্তীহ বিশ্বম্ ॥” মুণ্ডকোপনিষদে ১।১।৭। গর্ডস্থিত বালকের ষষ্ঠমাসে লোম জন্মে। এই জষ্ঠ ৬মাস গর্ডবর্তী নারীর বৈদিকাদি কৰ্ম্মে অধিকার থাকে না। “ধষ্ঠে মাসি চ নারীণাং বৈদিকেনাধিকারিতা । উগ্রন্থন্ত বালন্ত নখলোমপ্রবর্তনাৎ ॥” ( স্থতি ) অস্থির মল লোম, ইহা শরীরে অসংখ্য হয়। * “অস্থে মলানি লোমানি অসংখ্যামি ভবত্তি হি।” (বৈস্তক) লোমন (পুং ) পাণিনীয় অধৰ্চাদি গণোক্ত শব্দ। (পা" ২,৪০১) লোমপাদ (পুং ) লোমানি পাদয়োর্যস্ত । অঙ্গদেশীয় রাজ বিশেষ। ইনি ঋষ্যশৃঙ্গমুনির শ্বশুর। মহাভারতে লিখিত আছে যে, মঙ্গদেশাধিপতি লোমপাদ রাজা দশরথের বন্ধু ছিলেন। কোন সময় রাজা লোমপাদ ব্রাহ্মণদিগকে অবমাননা করেন, তাহাতে ব্রাহ্মণগণ সেই রাজ্য পরিত্যাগ করিয়া চলিয়া যান, এইজন্তু তাহার রাজ্যে বহুদিন ধরিয়া অনাবৃষ্টি হয়। এই অনাবৃষ্টি নিবারণের জন্তু তিনি ছলক্রমে বেণ্ডাম্বারা বিজ্ঞাওকপুত্র ঋষ্যশৃঙ্গকে ভুলাইয় স্বরাজ্যে জানয়ন করেন, এবং নিজ কঙ্ক শাস্তাকে ইহাঙ্গ ছন্তে সম্প্রদান করেন। ঋষ্যশৃঙ্গ