পাতা:বিশ্বকোষ সপ্তদশ খণ্ড.djvu/৬৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৰ্দ্ধমান १झालस्ा। মার্কণ্ডেয়পুরাণে এই বর্ধমানের উল্লেখ আছে। জৈনদিগের মতে, মহাবীর বা বৰ্দ্ধমানস্বামী রাঢ়দেশের যে অংশে অসভ্য । জাতির মধ্যে ধৰ্ম্মপ্রচার করিয়াছিলেন, তাহার নামানুসারে সেই স্বামই পরে বদ্ধমান নামে খ্যাত হয় । এখন বৰ্দ্ধমান মধ্যরাঢ় নামে খ্যাত । এই জেলায় এক সময়ে অনেক সুপ্রাচীন রাজব’শ রাজত্ব করিয়া গিয়াছেন এবং তাছাদের বহু প্রাচীন কীঞ্জি নানা স্থানে পড়িয়া আছে। সেয়গড় পরগণার সিংস্থারণ নামে যে নদী আছে, এই নদীর তীরে সিংহপুর নামে একট প্রাচীন রাজধানী ছিল। এখানে সিংহবাহ নামে রাজা রাজত্ব করিতেন, সিংহপুর নগর ধ্বংস হইলে এই স্থান সিংহারণ্য নামে প্রসিদ্ধ হয়। এই সিংহারণ্য হইতেই বর্তমান সিংহারণ নদীর নাম- | করণ হইয়াছে। এই জেলায় সাতশৈকা পরগণা সপ্তশতী । ব্রাহ্মণগণের আদি উপনিবেশ । এই জেলায় তাহারা যে সকল । গ্ৰাম লাভ করেন, সেই সকল গ্রাম নাম হইতে সপ্তশতীদিগের । বিভিন্ন গাঞি বা উপাধির কষ্ট হইয়াছে। গোঁড়াধিপ আদিশূর জয়ন্তের অভু্যদয়ের পূৰ্ব্বে এখানে সপ্তশতী ব্রাহ্মণগণেরই আধি- : পত্য ছিল । নারায়ণের ছন্দোগপরিশিষ্ট প্রকাশ হইতে জানিতে পারি যে, কোন কোন রাঢ়ীয় ব্রাহ্মণের পূর্বপুরুষ র্তাহাদেরই নিকট বহু কুলস্থান লাভ করিয়াছিলেন, তাহা হইতে কোন কোন রাষ্ট্ৰীয় ব্রাহ্মণের গাঞি হইয়াছে । গৌড়ে পালরাজগণের আধিপতা বিস্তৃত হইলে আদিশূরবংশীয় পূরনরপতিগণ বহুকাল এই জেলায় রাজত্ব করিয়া গিয়াছেন, তাহারা ও রাঢ়ীয়শ্রেণির ব্রাহ্মণগণকে এই জেলায় বহু শাসমগ্রাম দান করিয়াছিলেন, সেই সকল গ্রাম হইতেই রাঢ়ীয় ব্রাহ্মণগণের পুর্ধ্বপুরুষগণের বক্তর श्राधिका मम श्वांछ् । পালরাজগণ যে সময়ে বারেঞ্জে বৌদ্ধধৰ্ম্মপ্রচারে উদ্যত ছিলেন, সেই সময়ে রাঢ়দেশে শূবনরপতিগণ এথানকার বৌদ্ধ সমাজকে হস্তগত করিবার জন্ত আবহুক মত্ত শৈব ও শাক্তধৰ্ম্ম প্রচার করিতেছিলেন । গৌড়ে বৌদ্ধাধিকারকালে এখানকার । ঢেকুর নামক স্বামে সোমঘোষের পুত্র ইছাই ঘোষ নামে একজন শাক্ত নৃপতি আতিশয় প্রবল হইয়াছিলেন। তাছার প্রতিষ্ঠিত প্রামরূপাৰ গড়ই এক্ষণে লেলপাহাড়ী গড় নামে পৰিচিত । ইহার স্থায় প্রাচীন দুর্গ এ প্রদেশে আর নাই । গৌড়েশ্বর তাহার নিকট কএক যায় পরাস্ত হইয়াছিলেন। অবশেষে ধৰ্ম্মের সেবক লাউসেনের নিকট তিনি পরাজিত হম । ইছাই ঘোষের গড়েৰ ভগ্নাবশেষ আজও সেনপাহাড়ীত্তে পড়িয়া আছে । ७३ cबतीब्र चड#उ दर्रुधांम छूद्रषt *द्रशशाह নামে একটা সমৃদ্ধিশালী নগৰী ছিল। এখানে খৃষ্টীয় ৯ম শতাব্দী ! ( ఆరీతి +----- J বৰ্দ্ধমান পৰ্য্যস্ত কায়স্থ নৃপতিগণ রাজত্ব করিয়া গিয়াছেন। এখনকার পাণ্ডুয়া হিন্দু ও মুসলমান উভয় রাজগণের সময়েই প্রসিদ্ধ ছিল। সেনবংশীয় রাজাদিগের মধ্যে বিজয়সেন এখানে বিজয়পুব নামে একট নগর প্রতিষ্ঠা করিয়াছিলেন। এখানে বহুদিন হইতেই মুসলমান সংস্রব হইয়াছিল। মেমারির উত্তরপশ্চিমে বহা বা শ্ৰীকৃষ্ণনগর নামক গ্রামে সৈয়দ জলাল উদ্দীন তাত্রিজী কিছুকাল অবস্থান করিয়াছিলেন। ৬৪২ চিজরী বা ১২৪৪-৪৫ খৃষ্টাব্দে পাওয়ায় তাহার মৃত্যু হয় । উক্ত শ্ৰীকৃষ্ণনগরে জলাল উদ্দীনের নামানুসারে মাদ্রাসা-ইজলালিয়া নামে একটা মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠিত আছে। বদ্ধমান জেলার নানা স্থানে প্রাচীন দুর্গের ধ্বংসাবশেষ দৃষ্ট হয়। চুটিপুর পরগণায় মেমারি ষ্টেলনের দক্ষিণে কুলীনগ্রামের নিকট অনেক প্রাচীন গড়ের ভগ্নাবশেষ পড়িয়া আছে। আজমতশাহী পরগণায় ভাটাকুল গ্রামের নিকট রামচন্দ্রগড় এবং অজয়নদের নিকট শেরগড় পরগণায় রাণীগঞ্জের উত্তরে আরও কএকটা গড় দৃষ্ট হয়। বদ্ধমান সহরেই প্রসিদ্ধ বহরম সঙ্কা নামক প্রসিদ্ধ মুসল মান কবির গোরস্থান দৃষ্ট হয়, এই গোরস্থান ঠিক দুর্গের মত। আগ্রী হইতে সিংহলে যাত্রাকালে কবিবর ১৫৭৪ খুঃাকে বন্ধমানেঃ প্রাণত্যাগ করেন। ঐ বর্ষে মুসলমান ইতিহাসে, বর্ধমানের প্রথম উল্লেখ পৃষ্ট হয়। রাজমহলে দাউদ থানের পরাজয় ও মৃত্যু ঘটলে আকবরের সৈন্তগণ বদ্ধমানে আসিয়া দাউদের পরিবাহ বর্গকে আক্রমণ করেন। তৎপরে দশ বর্ষ কাল ধাউন্ধের পুত্র কুতলু খান এই বদ্ধমানে মোগলবিরুদ্ধে ঘোরতর সমরানম প্রজ্বলিত করেন । [ কুতলু থ। দেখ। ] তাহার কববের নিকট নূরজাহানের স্বামী সের আফগান ও বঙ্গের শাসনকৰ্ত্ত কুতব উদ্ণনের সমাধিমলির দৃষ্ট হয়। দিল্লীশ্বরের আদেশে কুতব, উদ্দীন নুরজাহানকে দিল্লীতে পাঠাইবার জন্য সের আফগানের সহিত যুদ্ধ করেন। বদ্ধমান ষ্টেসনের দক্ষিণে স্বাধীনপুর নামক গ্রামে যেখানে উভয় বীরে যুদ্ধ হইয়াছিল, আজ ও সকলেই সেই স্থান দেখাইয়া থাকেন । ১৬২৪ খৃষ্টাব্দে শাহজাদা খুরম্ ( পরে শাহজহান্‌) ৰন্ধমান দুর্গ ও সহর জয় করিয়া দিল্লীর শাসনভুক্ত করেন। বাদশাহ অরঙ্গজেবের পৌত্র আজিম্‌ উস্সান ১৬৯৭ হইতে ১৭০৪ খৃঃাৰু মধ্যে বদ্ধমানে একটি স্বন্দর মসজিদ নিৰ্ম্মাণ করাষ্ট্ৰয়া ছিলেন, আজও সেটি দেখিবার জিনিস । खर्रयाम गदैञान-ब्राङ्गबाथ । পঙ্গাৰ-প্রদেশান্তর্গত লাহোর নগরস্থ কোটলি মহল্লা-নিৰাম৷ সঙ্গম রায়, ৰন্ধমান রাজবংশের আদি পুরুষ । খৃষ্টীয় ষোড়শ শতান্ধের শেষভাগে সঙ্গম রায় সপরিৰারে জগন্নাথ দর্শনোদেশে