পাতা:বৃহৎ বঙ্গ (দ্বিতীয় খণ্ড) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১৭১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গুরুবাদ ও পরকীয়া ԳԳՏ সহজিয়ারা বলেন কাঠ-পাথরের বিগ্ৰহ সহজে তুষ্ট করা যায়-কয়েকটি ফুলবেলপাত পায়ে ফেলিয়া দিলেই যথেষ্ট। কিন্তু মানুষের মন জোগান বড় উৎকট তপস্তার কাজ, তিনি যাহা করিবেন। আমি তাহাই দেবতার কাজ বলিয়া গ্ৰহণ করিব, তাহার ইচ্ছায় আমার ইচ্ছা! একেবারে ডুবাইয়া দিব ; উপবাসী আমি, আরাধ্য ব্যক্তি আমার হাত হইতে থালা ফেলিয়া দিয়া আমার বিরুদ্ধে দরজা বন্ধ করিয়া দিলেন, তথাস্তু—তথাপি তিনি ভগবান, দুর্গাপ্ৰসাদের এই দুশ্চর তপস্যার মহিমা ভূলোক হইতে দুJলোক স্পর্শ করিয়াছে। চণ্ডীদাস বলিয়াছেন, “আমি নিজ সুখদুঃখ কিছু না জানি । তোমার কুশলে কুশল মানি”-অতি সরল সহজ দুটি কথা-কিন্তু অনুষ্ঠান করিতে হইলে বড় শক্ত । শক্রবৎ যে ব্যবহার করিতেছে, তাহাকে শুধু ক্ষমা নহে-সৰ্ব্বাস্তঃকরণে ভালবাসা এবং তঁহার হাতের শূল ফুল বলিয়া গ্ৰহণ করা। চণ্ডীদাস সহজিয়ার তান্ত্রিক অংশের উপর জোর দেন নাই, তিনি অনুরাগের দিকটায় বেশী ঝুকিয়াছিলেন। আর একটি নূতন স্ব তিনি প্রচার করিয়াছিলেন, তাহা এই :- নরনারীর প্ৰেম ঈশ্বরপ্রেমের পথ চিনাইয়া দেয়। বোধ হয় তাহার পূৰ্ব্বে আর কোন সহজিয়া একথাটা বলেন নাই। “ব্ৰহ্মাণ্ড ব্যাপিয়া আছয়ে যে জন, কেহ না জানিয়ে তারে । প্রেমের আরতি যে জন জানা ৭ সেই সে চিনিতে পারে”, এই পার্থিব প্রেমের সিডি বহিয়া স্বৰ্গলোকে যাইতে হয়, এবং এই নরনারীর প্রেমই গন্তব্য স্থানে লইয়া যাইবার একমাত্র উপায়— তথায় পৌছিলে এই প্রেমের আর প্রয়োজন হয় না । কবি এ সম্বন্ধে একটি সুন্দর উপমা দিয়া বলিয়াছেন, যদি দীপহস্তে কেহ গৃহে প্ৰবেশ করিয়া তথায় কোথায় কি আছে তাহা জানিতে চাহে, তবে সেই ভাবে সমস্ত জানিয়া লইলে তখন দীপের 'আব কোন প্রয়োজন इग् व् |° ( বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয়, ১৬৬৩-১৬৬৫ : || ৩০৯ পৃষ্ঠায় তিব্বত প্রসঙ্গে আমরা যে সকল ক’ दक्षिप्राछि, ऊाश्ाgङ ,तथा शाघ्र द८क्र१ বাউল ও সহজিয়ীদের সঙ্গে কোন কোন বৌদ্ধ শ্রেণব মতের আশ্চৰ্য্য সাদৃশ্য আছে। একসময়ে তান্ত্রিক বৌদ্ধগণের নরনারীর অবাধ মিলন ও ব্যভিচারে উত্যক্ত হইয়' তিব্বতের রাজা বঙ্গদেশ হইতে দীপঙ্করকে লইয়া যাওয়াব জািষ্ট প্রাণা গু চেষ্টা করিয়াছিলেন । মহাপ্ৰভু স্ত্রীলোকের সঙ্গে পুরুষের অবাধ মিলনেব বিরোধী ছিলেন । তিনি ছোট হরিদাসকে শিখা মাহিতীর ভগিনী মাধবীর কাছে ভিক্ষ চাহিবাব অপরাধে একেবার্বে ত্যাগ করিয়া, ছিলেন। “প্ৰভু কহে সন্ন্যাসী করে প্রকৃতি সম্ভাষণ, দেখিতে নী °ानि '&भि ऊछ्षं वान् ।।' হরিদাস প্রাণান্ত চেষ্টা করিয়াও চৈতন্তের দর্শনলাভে বঞ্চিত হইয়। অবশেষে ত্ৰিবেণীতে যাইয়া জলে পড়িয়া আত্মহত্যা করেন। চৈতন্য-চরিতামৃতে কথিত আছে, সহচরদের সঙ্গে কোন জ্যোৎস্নাময়ী রাত্ৰিতে চৈতন্য সমুদ্রতীৰে যাইযা আকাশে এক মধুর ও করুণ আৰ্ত্তনাদ শুনিতে পাইয়াছিলেন এবং চৈতন্য “ক্ষমা করিলাম” বলিয়াছিলেন। তিনি সহচরদিগকে বলিলেন, “হরিদাসের আত্মা আমার নিকট ক্ষমা চাহিতেছে।” সে পৰ্যন্ত তাহার মৃত্যুসংবাদ কেহ। জানিতেন না। পার্শ্বদগণ আশ্চৰ্য্যান্বিত হইলেন । চূড়াধারী মাধব যখন মেয়েদের দলবল লইয়া পুরীতে আসিয়াছিল, তখন চৈতষ্ঠ মদ্যপ্ত বিরক্ত হইয়াছিলেন-ভঁাহার