পাতা:বৃহৎ বঙ্গ (দ্বিতীয় খণ্ড) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১৭৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

22s2fsctet পাঠান-বিদ্রোহ মোগল-পাঠান-“যেন ভুজঙ্গ-নকুল ৷” এইবার আমরা মোগল অধ্যায়ের সন্নিহিত হইলাম। দাউদখার পরেও পাঠানেরা তাহাদের দাবি ছাড়ে নাই, সুবিধা পাইলেই বিদ্রোহ করিয়াছে। ১৫৮৩ খৃষ্টাব্দে পাঠানেরা কতলু খাঁর নেতৃত্বে উড়িষ্যায় বিদ্রোহী হইয়াছিল,-মোগল সৈন্যেরা বহু চেষ্টা করিয়াও তাহাদিগকে সম্যক বিধবন্ত করিতে পারে নাই। এমন কি ১৫৮৬-৮৭ খিষ্টাব্দে বাঙ্গলার নবাব সাহাবাজ খাঁ কাতলু খাঁর সঙ্গে সন্ধি করিতে বাধ্য হইয়াছিলেন । এই সন্ধিতে কতলু খাঁ বঙ্গদেশের উপর কোন হাত দিতে পরিবেন না, উড়িষ্যার অধিকার লইয়া সন্তুষ্ট থাকিবেন, এই কথা ছিল। আকবর সাহাবাজ খ-কৃত সন্ধিতে সন্তুষ্ট হন নাই। তঁহার বিশ্বাস হুইল, খ্যা সাহেব উৎকোচ-গ্ৰহণপূর্বক বিদ্রোহীর সঙ্গে মৈত্রী স্থাপন করিয়াছেন,-সুতরাং সম্রাট র্তাহাকে বাঙ্গলার মসনদ হইতে বিচুত করিয়া উজির খাঁ হেরেবীকে তাহার স্থানে নিযুক্ত করিলেন ; এই শান্তিই প্রচুর হইল না, বহু অর্থ উৎকোচ-গ্ৰহণের সন্দেহে সাহাবাজ তিন বৎসর কাল বন্দী হইয়াছিলেন । ১৫৮৯ খৃষ্টাব্দে মানসিংহ বঙ্গের মসনদ পাইয়া, কতলু খাঁর বিরুদ্ধে অভিযান করিয়া র্তাহার হস্ত হইতে উড়িষ্যা ছাড়াইয়া লইতে কৃতসঙ্কল্প হইলেন । কাতলু খা নিজে উড়িষ্যায় থাকিয় তাহার এক প্ৰবল দল ধেরপুর (জাহানাবাদ হইতে ৫০ মাইল দূরবর্তী) নামক গ্রামে পাঠাইয়া দিলেন। মানসিংহের তরুণ পুত্র জগৎসিংহ তখন কতলুর্গাকে বশীভূত করিবার ভার লইয়া আসিয়াছিলেন। পাঠানেরা ধূৰ্ত্ততা করিয়া সন্ধির প্রস্তাব চালাইতে লাগিল— তাহারা যুবরাজের কাছে আত্মসমৰ্পণ করিবে এই সন্ধির কথা লইয়া মৈত্রীস্থাপনের চেষ্টা পাইতে লাগিল। কিন্তু ইহা একটি ষড়যন্ত্রমাত্র। কোন প্রকারে দেরী করিয়া স্বাদলের পুষ্টি ও শৃঙ্খলা সাধন ছিল ইহাদের উদ্দেশ্য। যুবরাজ সন্ধির কথা বিশ্বাস করিয়া নিশ্চিন্ত ছিলেন। এই অবস্থায় অতর্কিতভাবে আক্রমণ করিয়া তাহারা তাহাকে বন্দী করিয়া লইয়া গেল। এই ঘটনায় পাঠানেরা অত্যন্ত উল্লসিত হইল এবং মানসিংহের পরিতাপ ও