পাতা:বৃহৎ বঙ্গ (দ্বিতীয় খণ্ড) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/২১২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৃহৎ বঙ্গ , ও এবং রাজার ১৫টি দুর্গ অধিকার করেন। কিন্তু বর্ষ আসিয়া পড়াতে রসদের অভাবে ছাতির। একশেষ ভোগ করিয়া পালাইয়া রক্ষা পান। ১৬৬২ খৃঃ আবে মিরজুমলা আসামের স্বাধীনতা লুপ্ত করিতে কৃতসঙ্কল্প হন । কিছু হাসাষের জঙ্গলে রসদের অভাবে ও শত্রুদের অবিশ্ৰান্ত শরবষণে তিনি ব্যতিব্যস্ত হইয়া পড়েন । বর্ষার অসানে রাজা শানাইয়া পাহাড়ে যাইতেন—তখন ত্রিপুরা ও আসাম। মিগৈলা জয়ের আশায় উৎফুল হইতেন। কিন্তু বর্ষায় আবার বিড়ম্বনা আরম্ভ হইত। কিন্তু পরিশেষে মিরজুমলার জয় হইল। রাজা তাহাকে ২০•• তোলা সোনা, ১০,০৮,• • • তোলা রৌপ্য, ৪ ৩টি হস্তী এবং রাজাস্তঃপুরের দুইটি সুন্দরী কুযারী প্রদান করিা অব্যাহতি পান। তিনি বাৎসরিক একটা নির্দিষ্ট রাজস্ব দিতে স্বীকৃত হন, এবং এই রাজস্ব রীতিমত দেওয়া হইবে - তাহার জামিমস্বরূপ চারটি রাজকুমারকে সঙ্গে লইয়া আসেন। মোগলদিগের সঙ্গে ত্রিপুরেশ্বরেরও সংঘর্ষ উপস্থিত হইয়াfছল। মোগলেরা যে কোন উপলক পাইলেই তাহাদের সাম্রাজ্যবৃদ্ধির সুবিধা খুজিতেন । পাঠানেরা যেরূপ অর্থের অভাব হইলে বা প্রতিহিংসানিবন্ধন নিকটবৰ্ত্তী রাজ্যে উৎপাত করিরা লুণ্ঠনধারা ভাঙার ভৰ্ত্তি করিয়া আনিতেন এবং বিজিত রাজ্য এইভাবে লাহিত করিয়া থোস সে জাঙ্গে চলিয়া যাইতেন-মোগলদের রাষ্ট্রনীতি তাহার সম্পূর্ণ বিপরীত দিকে, তাহার রড্রপথ পাইপেই তৎসূত্রে প্রবেশপূর্বক রাjটি চিরকালের তরে আত্মসাৎ ও পদানত করিতে ক তসগল্প হইতেন। কিন্তু কুচবিহার. fবপুরা ও আসাম বহুদিন এই উষ্কর্য শত্রুর আক্রমণ ও তৎকর্তৃক র:জ্যের অধিকার ঠেকাইয়া রাখিয়াছিল। আাষরা স্বতন্ত্রভাবে এই তিন রাজ্যেৰ সম্বন্ধে আলোচনা করিব, এজন্য এখানেই এই প্রসঙ্গ শেষ করিলাম। ফ্রিপুরেশ্বরের প্রধান পুরোহিত বাদশাহের নিকট-এাণীঃ এক মুসলমান যোৱাকে কালীমন্দিরে বলি দিয়াছিলেন । এসকল কথা আমরা এই পুস্তকের শেষ অধ্যায়ে বৰ্ণনা করি। চতুথ পরিচ্ছেদ মোগলাধিকারে বঙ্গীয় শাসমকর্তৃগণ বঙ্গদেশে মোগলের। ধীরে ধীরে সমস্ত শক্রপক জয় । করিগা জাঅশিবিয়ের বিদ্রোহ দলনপূর্বক পাশ্ববৰ্তী রাজ্যের প্রায় সকলগুলিকে ৬াহাদের বিশাল সাম্রজাভুক্ত করিয়া সার্বভৌম অধিকার পাইরrছিলেন ; তাহার ইতিহঃস সংক্ষেপে দিলাম। জাক বর যাহা করিয়াছিলেন, জাহাঙ্গীর ও সাজাহান সেই নীতিই মূলতঃ অসুসরণ করিয়াছিলেন। শাকৰয়