পাতা:বৃহৎ বঙ্গ (দ্বিতীয় খণ্ড) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/২৭৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শিক্ষা-দীক্ষার কথা by जन€कप 2>न्द्धि-पत्र-छात्र শিক্ষা-দীক্ষার কথা পাঠানদের সময়ে বাঙ্গালী হিন্দুর যে তেজ ছিল, তাহ মোগলদের সময়ে অনেকটা নির্বাপিত হইয়া গিয়াছিল। পাঠানেরা এদেশের হিন্দুদের সঙ্গে যতটা মিশিয়াছিলেনমোগলেরা তাহা করেন নাই। হুসেন সাহ প্ৰভৃতি প্ৰধান রাজারা সন্ত্রান্ত ব্ৰাহ্মণদিগের পুত্রকন্যা খুজিয়া তাহাদিগের সহিত স্বীয় সন্ততিবর্গের বিবাহ দিতেন। আমরা একটাকিয়ার ব্ৰাহ্মণ জমিদারদিগের কথা পূর্বেই বলিয়াছি। এই বারেন্দ্ৰ ব্ৰাহ্মণবংশের অনেক সুন্দরী কন্যা এবং গুণশালী যুবকের সহিত মুসলমান বাদাসাদের পুত্রকন্যার বিবাহ হইয়াছে। অবশ্য এই সকল কন্যা ও পুত্রদিগকে বিবাহের পূর্বে মুসলমান ধৰ্ম্মে দীক্ষিত করা হইত। এইভাবে অযোধ্যা প্রদেশের বাইশোয়ারা পরগনার অধিপতি ক্ষত্ৰিয় ধনপৎ সিংহের বংশীয় ভগীরথের পুত্ৰ কালিদাস গজদানীর রূপে মুগ্ধ হইয়া নবাব বাহাদুর সাহের কন্যা তাহাকে আত্মসমৰ্পণ করিয়াছিলেন। এই কাহিনীতে কবিত্বের রং ফলাইয়া মুসলমান কবি যে পল্পী-গীতিকা রচনা করিয়াছেন, তাহা “ইশা খা” শীৰ্ষক কাব্যে আছে, বিশ্ববিদ্যালয় তাহ প্ৰকাশ করিয়াছেন ; কালিদাস স্বর্ণহস্তী ( অবশ্য ক্ষুদ্রাকৃতি মূৰ্ত্তি ) ব্ৰাহ্মণদিগকে দান করিয়া গজদানী উপাধি লাভ করিয়াছিলেন, সুতরাং তিনি গোড়া হিন্দু ছিলেন। নবাবৰকন্যার প্রেমে পড়িয়া তিনি ধৰ্ম্মবিসর্জনপূর্বক ‘সোলেমান” নাম গ্ৰহণ করেন। এই দেওয়ান কালিদাস গজদানীর পুত্ৰই জঙ্গলবাড়ীর সুপ্ৰসিদ্ধ যোদ্ধা ইশা খা, তাহা পুর্বেই বলা হইয়াছে। বঙ্গদেশের ইতিহাসে যিনি একটা কলঙ্কের দাগের মত হইয়া রহিয়াছেন, সেই ‘কালাপাহাড় ও হিন্দু ছিলেন, তিনি মুসলমান বাদশাহের কন্যা বিবাহ করিয়া জাতিধৰ্ম্ম বিসর্জন দেন ; তাহার কথা ইতিপূর্বে বিস্তারিতভাবে লিখিত হইয়াছে। পাঠানেরা হিন্দুর রাজ্য জয় করিলেও তঁহাদের মধ্যে সন্ত্রান্ত বংশীয়দিগকে স্বীয় সমকক্ষ মনে করিতেন। মোগলদের বিরুদ্ধে যেমন দাউদ খাঁ, কতলুখা প্ৰভৃতি পাঠানের যুদ্ধ করিয়াছিলেন, তেমনই চাদ রায়, কেদার রায়, প্রতাপাদিত্য, ভূষণার মুকুন্দরাম ও সত্ৰাজিৎ রায় প্রভৃতি হিন্দু জমিদারগণও যুদ্ধ করিয়াছিলেন, কারণ পাঠানেরা শুধু মাথা হেঁট করাইতে চাহিতেন, কিছু রাজস্ব চাহিতেন, দক্ষিণা পাইলেই চলিয়া যাইতেন ; হিন্দু রাজারা প্ৰায় স্বাধীনই ছিলেন, তাহারা ঐ রাজস্ব দেওয়ার পর নিজ রাজ্য সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবেই শাসন করিতেন, এমন কি পার্শ্ববৰ্ত্তা রাজার অপর শক্ৰদের সহিত যুদ্ধবিগ্ৰহ করিতেন-গৌড়দ্ধারের রাজা চাঁদ রায় ও সন্তোষ রায় এইভাবে কতলু খাকে রাজস্ব দেওয়া বন্ধ করিয়াছিলেন। সময়ে সময়ে ইহার এত প্ৰবল হইতেন যে, বঙ্গাধিপের রাজ্য আক্রমণ করিবার কথাও মনে মনে পোষণ করিতেন। এইভাবে বনবিষ্ণুপুরের রাজা বীরহান্ধীর একদা নবাবের রাজধানী আক্রমণের ইচ্ছা করিয়াছিলেন। ত্রিপুরেশ্বরের প্রধান পুরোহিত হুসেন সাহের সেনাপতি মমারক থাকে যুদ্ধে পরাস্ত করিয়া ত্রিপুরেশ্বরীর মন্দিরে বলি <re z2/los staff-șC sfaţă