পাতা:বৃহৎ বঙ্গ (দ্বিতীয় খণ্ড) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৩১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

शिक-ौकब्र कथ ORN ডুবে মারি শুষ্ঠােমা। ষড়রিপু হল কুদণ্ডস্বরূপ, পুণ্যক্ষেত্র মাঝে কাটিলাম কুপ * ঘৱে বসিয়া পাশা খেলিতে খেলিতে চাষা গায়-“ভবের আশা খেলিব পাশা বড় আশা মনে ছিল।” এরূপ শত শত উদাহরণ দিয়া দেখান যাইতে পারে বাঙ্গলার চাষা মাটিতে বাস করিয়াও প্রকৃত পক্ষে অবাস্তব রাজ্যের অধিবাসী। সে জমিদার কি মহাজন— বা অদৃষ্টর তৃত্য নহে সে বুদ্ধ ও জৈন গুরুদের শিষ্য। একটুখানি বর্ণজ্ঞান দিয়া ইহাকে উন্নত করা এবং আকবরকে নাম সই করিতে শিখাইয়া শ্ৰেষ্ঠতর করিবার বাহাদুরী লওয়া-উভয়ই তুল্যরূপ। বাঙ্গালী চাষা প্রশ্ন করে—“দীপ নিবিলে, আলো কোথা যায় ? সুর থামিলে শব্দ কোথায় যায়?” ( গোরক্ষাবিজয় । ) এইরূপ দার্শনিক প্রশ্ন কোন দেশের চাষা করিতে পারে ? অন্য দেশের গ্ৰাম্য কবিতায়-বেদনার গভীরতা, জীবনের উপভোগ, স্বাভাবিক কবিত্ব আছে, কিন্তু বাঙ্গলা পল্লীগাথায় প্রেমের যে তপস্যা আছে,-জগতের আর কোথায়ও সেরূপ সাধনা আছে কিনা তাহ জানি না। পল্লীগাথাগুলিতে সেই আশ্চৰ্য্য তপস্যার কথা পড়িয়া নিতান্ত বিদেশী ভাবাপন্ন পাঠকও বাঙ্গলার চাষার প্রতি সশ্রদ্ধ হইবেন । এদেশের কবি অধ্যাত্মবাজ্যের নিজ জন । বাঙ্গলার গ্ৰাম্য কবির গাথা পড়িয়া এজন্য তাহদের সৃষ্ট নায়িকাদিগকে চিত্রবিদ্যাবিশারদ মিসেস হেগ, সেক্সপীয়র ও রেইনীর নায়িকাদেব সঙ্গে তুলনা করিয়াছেন ; রোমা রোলা পল্লীগাথায় অপূৰ্ব্ব কাব্যশিল্পের পরিচয় পাইয়া বিস্মিত হইয়াছেন এবং উইলিয়াম রথনষ্টাইন তাহদের মধ্যে অজস্তার বিশ্ববিশ্রুত রমণীমূৰ্ত্তিদিগকে জীবন্ত পাইয়াছেন। জীবতত্ত্ব, দেহতত্ত্ব যদি চাষার বৌদ্ধ-শ্রমণের নিকট পাইয়া থাকে,-হিন্দু ব্ৰাহ্মণের নিকট তাহারা ভক্তি ও প্ৰেম পাইয়াছে। সংসারের দুঃখ সে মায়ের হাতের “মার ধ’র’ মনে করিযা সেই মাতাকেই আশ্রয় করিয়া থাকে—“বারে বারে যত দুখ দিয়াছ, দিতেছ। তারা, সে কেবল দয়া, তব জেনেছি মা দুখহর ।” ক্ষেত্রে বা কাজ করিতে করিতে সে যে গান গায়, एङiझोड्ग मी ভারতবর্ষ ছাড়া অন্য কোন দেশের চাষা বুঝিবে ? বঙ্গসাহিত্য-পরিচয়ের দ্বিতীয় খণ্ডে সন্ধ্যাভাষায় বিরচিত লাল শশীর যে গানগুলি প্রদত্ত হইয়াছে, তাহদের সকলগুলির মৰ্ম্মার্থ আমরা বুঝিতে পারি নাই, কিন্তু তাহাদেব প্রত্যেকটি যে খুব উচ্চ অঙ্গের ভাব রাজ্যের কথা ও অবাস্তব তত্ত্বের সম্পদ তাহা সেগুলি পড়িলে পাঠকমাত্রেই ইঙ্গিতে বুঝিবেন। বাঙ্গলার বণিকেরা যে ক্রমশঃ অর্থগৃধু ও দুনীতিপরায়ণ হইয়া পড়িয়াছিল তাহা আমরা ষোড়শ শতাব্দীর কাব্যগুলিতেই দেখিতে পাই। পল্পীগীতিকায় দেখিতে পাওয়া যায়—মগ ও মুসলমানদিগের মত হিন্দু ললনাদিগকে নদীর ঘাট হইতে বণিকেরাও হঠাৎ তুলিয়া লইয়া চম্পট দিতেছে। রূপকথায় শৈশবে আমরা শুনিয়াছি-সদাগরেরা স্নানাথিনী সুন্দরী রমণী পাইলে তাহাদিগকে বলপূর্বক তুলিয়া লইত। চট্টগ্রামের মঘাই বণিকের চিত্র ‘মহিষাল-বন্ধু' নামক গীতিকায়, ভেলুয়া গীতির ভোলা বণিকের চিত্রে, এবং মহুয়া-গীতির বিলাসী বণিকের চরিত্রে ইতিহাসের একটা পৃষ্ঠা কাব্য-কথায় লিখিত হইয়াছে বলিয়া মনে হয়। এই বণিকেরা পরস্বপহারী এবং অর্থলুব্ধ হইয়া পড়িয়াছিল। পলী-গীতিকায় দৃষ্ট হয় সাধারণ কাচ কি প্রস্তরখণ্ড ইহারা সময়ে সময়ে बकृिtप्रब्र क थीं।