পাতা:বেণের মেয়ে - হরপ্রসাদ শাস্ত্রী.pdf/২১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ਕਬੋ করিতে লাগিল। যাহারা মাটিতে ছিল, তাহাদের ঠাট্টা-বটুকের করিতে লাগিল। আর এক দোল—নগর দোলা, চারি মুড়ায় চারিটা। বাক্স, এক এক বাক্সে চারিজন করিয়া লোক বসিয়া আছে, আর নাগর-দােল উঠিতেছে নামিতেছে-এই মাথার উপর, আবার তখনই মাটির কাছে, এই ডাহিনে, এই আবার বামে। নাগর-দোলায় স্ত্রীও আছে পুরুষও আছে। আবার জায়গায় জায়গায় এক নাগর-দোলাতেই স্ত্রী-পুরুষ দুই আছে। এদিন আর বড় লজ্জা সরাম থাকে না। তবে এবার একটু ভয়, রাজা কাছেই আছেন। নাগর-দোলাগুলো এক একটা ৩০ ॥৪০ ফুট পৰ্য্যন্ত উঠিতেছে। একজন কবি বলিয়াছেন, বাঙ্গলার মেয়েরা অপসরাদের চেয়েও সুন্দরী, তাহারা অনেক সময় অপসারদের সঙ্গে রূপের টক্কর দিবার মনঃস্থ করে ; তাই তারা নাগরদোলায় চড়িয়া স্বৰ্গ কতদূর দেখার চেষ্টা করে ; একবার নামিয়া ও একবার উঠিয়া উপরে উঠা অভ্যাস করে। কিন্তু যত বেচাল ঐ দক্ষিণদিকে। উত্তরদিকে ব্ৰাহ্মণদের ও হিন্দুদের মধ্যে এ সব বেচাল হষ্টতে পারে না, তাহারা একটু সমীহ করিয়া চলে। লোক সব ভাল কাপড় পড়িয়া আসিয়াছে। ভাল কাপড় মানে, ঘোরাল রঙের,-ঘোরাল লাল, ঘোরাল কাল, ঘোরাল নীল, ঘোরাল তলদে। সব ঘোরাল। সাদা কাপড় কেবল ব্রাহ্মণদের, বিশেষ ব্ৰাহ্মণপণ্ডিতদের। তাহারাত তুলার কাপড় বড় একটা পরেন না, পাটের কাপড় পরেন। গরদ ক্ষীরোদ পরেন, তাতার রঙ ঘোরাল নয় বটে, কিন্তু দেখিলে চক্ষু জুড়াইয়া যায়। স্থির চইয়াছিল যে, মহারাজা মূখন সভায় আসিবেন, তখন রণবাদ্য বাজিবে না। তঁহার নৌকা হইতে সভা পৰ্যন্ত লুইসিদ্ধার কীৰ্ত্তনীয়াদল রাস্তার দুইধারে দাড়াইয়া কীৰ্ত্তন করিবে। ময়ুরপঙ্খী হইতে সভা SRON