পাতা:বেদান্তগ্রন্থ - রামমোহন রায়.pdf/২৫৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃতীয় অধ্যায় : তৃতীয় পাদ R)\9 নিমিত্ত এই শ্রুতি গৌণ হয় ; বেদে অগ্নির স্থাপন করিবেক আর অগ্নির স্থাপনে গান আবশ্যক। আর ঐ গানে দীর্ঘ স্বরের আবশ্যকতা অতএব পরিশ্রুতি মুখ্য হয়, এই নিমিত্ত সামবেদীয় বারবতীয় অগ্নি স্থাপনে গান করিবেন ৷৷ ৩৩৩৪ ॥ " টীকা—৩৪শ সূত্ৰ-বৃহঃ (৬৮৮ ) মন্ত্রে যাজ্ঞবল্ক্য গাগীকে বলিয়াছিলেন অক্ষর অস্থূল অনন্ণু অহম্বন আদীৰ্ঘম ইত্যাদি। কঠোপনিষদে আছে ব্ৰহ্ম অশব্দম অস্পৰ্শম ইত্যাদি। এই সব বাক্যই নিষেধবাচক। কঠোপনিষদের এই সকল নিষেধপর বাক্য অক্ষর-এর সঙ্গে সংগৃহীত হইবে কিনা, ইহাই ছিল প্ৰশ্ন। উত্তরে বলা হইল কঠোপনিষদের নিষেধবাচক অশব্দম ইত্যাদি ব্ৰহ্মবাচক বিশেষণের সঙ্গে অক্ষরবিষয়ক অস্থূল প্ৰভৃতি নিষেধবাচক বিশেষণ একত্র সংগ্ৰহ হইবে ; কারণ এই সকলই ব্ৰহ্মের জ্ঞাপক এবং ইহাদের অর্থও সমান। এই বিষয়ের উদাহরণস্বরূপ রামমোহন ঔপসদের দৃষ্টান্ত দিয়াছেন। ঋষি জামদগ্ন্য যজুর্বেদের অহীন নামক একটী যাগ করিয়াছিলেন। এই অহীন যাগের একটি অঙ্গ যাগের নাম উপসদ। উপসদে পুরোডাশ অর্থাৎ এক প্ৰকার পিষ্টক আহুতি দিতেই হইত। পুরোডাশ আহুতিদানের মন্ত্রগুলি কিন্তু সামবেদীয় ; কিন্তু যজ্ঞটা যজুৰ্বেদীয়। অথচ এই সামবেদীয় মন্ত্রগুলি পাঠ করিতেন যজুর্বেদের ঋত্বিক অধ্বযু্য, সামবেদের ঋত্বিক উদগাতা তাহ পাঠ করিতেন না । যে বেদের যাগ, সেই বেদের ঋত্বিকই মন্ত্র পাঠ করিতেন। যদিও মন্ত্রগুলি অন্য বেদের। রামমোহন এই বিষয়ে আরো একটী উদাহরণ দিয়াছেন, যাহা অন্য আচার্যেরা দেন নাই । যজ্ঞকালে অগ্নিস্থাপনের বিধান ছিল । অগ্নিস্থাপন কালে মন্ত্রগানও করিতে হইত। ঐ মন্ত্ৰসকল যজুর্বেদের এবং ইহাদের নাম ছিল বারবতীয়। ঐ গানের মন্ত্রে দীর্ঘস্বর থাকিতে ; কিন্তু যজুর্বেদে দীর্ঘস্বরের প্ৰয়োগ নাই ; সুতরাং যজৰ্বেদীয় ঋত্বিক তাহা গান করিতেন না । সামবেদীয় ঋত্বিক মন্ত্রগান করিয়া অগ্নি স্থাপন করিতেন । দ্বা সুপর্ণা এই প্ৰকারণের শ্রুতিতে কহিয়াছেন যে দুই পক্ষীর মধ্যে এক ভোগ করেন, পুনরায় কহিয়াছেন যে দুই পক্ষী এক বিষয়ফল ভোগ করেন, অতএব দুই পক্ষীর ভোগ এবং ভেদ বুঝা যায়। এমত a