পাতা:বৈকুণ্ঠের খাতা - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১২
বৈকুণ্ঠের খাতা।

 বৈকুণ্ঠ। আহা, আহা, রাগ করে যাবেন না কেদার বাবু—কেদার বাবু শুনে যান্—

 তিনকড়ি। কিছু ভাবেন না! কেদারদাকে আমি বেশ জানি। ওকে আমি আধ ঘণ্টার মধ্যে জুড়িয়ে ঠাণ্ডা করে আপনার এখানে হাজির করে দেব। বুঝচেন না পেটে আগুন জললেই বাক্যিগুলো কিছু গরম গরম আকারে মুখ থেকে বেরতে থাকে।

 বৈকুণ্ঠ। হাহাহাহাঃ! বাবা, তোমার কথা গুলি বেশ তা দেখ, এই তোমাকে কিঞ্চিৎ জলপানি দিচ্চি (নো দিয়া) কিছু মনে কোরো না!

 তিনকড়ি। কিচ্ছু না কিচ্ছু না! এর চেয়ে বেশি দিলেও কিছু মনে করতুম না— আমার সে রকম স্বভাব, নয়!

(প্রস্থান।)

ঈশানের প্রবেশ।

 ঈশান। বাবু! (বৈকুণ্ঠ নিরুত্তর) বাবু! (নিরুত্তর) বাবু থাবার এসেছে! (নিরুত্তর) খাবার ঠাণ্ডা হয়ে গেল যে!

 বৈকুণ্ঠ। (রাগিয়া) যা—আমি খাব না!

 ঈশান। আমায় মাপ কর— থাবার জুড়িয়ে গেল।

 বৈকুণ্ঠ। না আমি খাব না।