পাতা:বৈকুণ্ঠের খাতা - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
দ্বিতীয় দৃশ্য।
৩৩

 তিনকড়ি। তা ওটা লেখা বইত না— পদতলে লিখে করতলে দিলেই হবে—সে জন্যে ত কেউ আদালতে নালিশ করবে না!

 অবিনাশ। না হে না, লেখার ত একটা মানে থাকা চাই—

 তিনকড়ি। আংটি থাকলে আর মানে থাকার দরকার কি? ওতেই ত বোঝা গেল!

 অবিনাশ। আংটির চেয়ে কথার দাম বেশি তা জান?

 তিনকড়ি। তা হলে আজ আর তিনকড়েকে হাহাকার করে বেড়াতে হত না।

 অবি। আঃ কি বক্‌চ তুমি তার ঠিক নেই! একটু মন দিয়ে শোন দিখি। ও লাইনটা যদি এই রকম লেখা যায় ত কেমন হও—“প্রেয়সীর করপদ্মে অনুরক্ত সেবকের প্রণয়োপহার!”

 তিনকড়ি। বেশ হয়!

 অবিনাশ। বেশ হয়! একটা কথা বলে দিলেই হল “বেশ হয়!” একটু ভেবে চিন্তে বল না!

 তিনকড়ি। ও বাবা! এ যে আবার রাগ করে! বুড়োর শরীরে কিন্তু রাগ নেই! (প্রকাশ্যে) তা ভেবে চিন্তে দেখ্‌লে বোধ হয় গোড়ারটাই ছিল ভাল!

 অবিনাশ। কেন বল দেখি! এটাতে কি দোষ হয়েছে!