দিলে, স্নানের জল তৈরি। অম্নি কলম রেখে চৌকি ছেড়ে রবিঠাকুর দ্রুতপদবিক্ষেপে স্নানযাত্রায় গমন ক’র্লেন। স্নান ক’রে বেরিয়ে এসে খবর পাওয়া গেল—কী খবর বলো দেখি? আন্দাজ ক’রে দেখো। খবর পাওয়া গেল-যে, রবিঠাকুরের ভোগ প্রস্তুত—শ্রীযুক্ত তুলসী নামক উৎকলবাসী পাচকের স্বহস্তে পাক-করা। আহার সমাধা ক’রে এই আস্চি—সুতরাং চিঠির ওভাগে পূর্ব্বাহ্ণ ছিল, এ ভাগে অপরাহ্ণ প’ড়েচে-এখন ঘড়ির কাঁটা বেলা একটার দিকে অঙ্গুলি নির্দ্দেশ ক’র্চে। সেই মোটা মেঘগুলো শাদাকালো রঙের কাবুলি বেড়ালের মতো এখনো অলসভাবে স্তব্ধ হ’য়ে রোদ্রে পিঠ লাগিয়ে প’ড়ে আছে। পাখী ডাক্চে আর জানালার ভিতর দিয়ে চামেলি ফুলের গন্ধ আস্চে।
ঐ মেঘগুলোর দৃষ্টান্ত অনুসরণ ক’রে একটা লম্বা কেদারা আশ্রয় ক’রে নিস্তব্ধভাবে জানালার কাছে যদি ব’স্তে পার্তুম তা হ’লে সুখী হতুম কিন্তু অনেক চিঠি লিখ্তে বাকি আছে। অতএব গিরি-শিখরে এই শরতের অপরাহ্ণ আমার চিঠি লিখেই কাট্বে। তুমি ছবি আঁক্চো কি না লিখো; আর সেই এস্রাজের উপর