পাতা:ভানুসিংহের পত্রাবলী - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৭৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ভানুসিংহের পত্রাবলী
৭৩

দিকে তাকিয়ে মেঘের খেলা দেখি, হাওয়ার গান শুনি, চাঁদের আলোয় ডুব দিই, ফুলের গন্ধে মাতাল হই, পল্লব-মর্ম্মরে থর্ থর্ ক’রে কাঁপি, ভ্রমর-গুঞ্জনে ক্ষুধাতৃষ্ণা ভুলে যাই ইত্যাদি ইত্যাদি। এ সব হ’লো হিংসের কথা। তা’রা জাঁক ক’রে ব’ল্‌তে চায়-যে, তা’রা কবিতা লেখে না বটে কিন্তু হপ্তায় সাতদিন ক’রে আফিসে যায় আদালত করে, খবরের কাগজ চালায়, বক্তৃতা দেয়, ব্যবসা করে, তা’রা এত বড়ো ভয়ঙ্কর কাজের লোক। আফিসের ছুটি নিয়ে তা’রা একবার এসে দেখে যাক্‌—আমি কাজ করি কিনা। আচ্ছা, তা’রা খুব কাজ ক’র্‌তে পারে—আমি না হয় মেনে নিলুম, কিন্তু খুব কাজ না ক’র্‌তে পারে এমন শক্তি কি তাদের আছে? যেই তাদের হাতে কাজ না থাকে অম্‌নি তা’রা হয় ঘুমোয়, নয় তাস খেলে, নয় মদ খায়, নয় পরের নিন্দে করে, কী ক’রে-যে সময় কাটাবে, ভেবেই পায় না। আমার সুবিধা এই-যে, যখন কাজ থাকে তখন রীতিমতো কাজ করি, আবার, যখন কাজ না থাকে তখন খুব ক’ষে কাজ না ক’র্‌তে পারি—তা’র কাছে কোথায় লাগে তোমার বাবার কমিটি-মীটিং। যখন কাজ না-করার ভিড় পড়ে তখন