পাতা:ভারতবর্ষের ভূগোল বৃত্তান্ত.pdf/৫৭

8৬ • ভারতবর্ষের ভূগোল ব্লভান্ত । ধৰ্ম্ম সম্বন্ধীয় কর্তব্য কৰ্ম্ম বলিয়া বোধ করে। মানক ১৪৬৯ সনে জন্ম গ্রহণ পূর্বক এই মতের স্মৃষ্টি করিয়া গুরু নামে প্রচারিত হয়েন, তৎপরে উপহার সেবকেরা আপনাদিগকে শীক অথবা শিষ্য অাখ্যানে বিখ্যাত করিয়াছে। ভঁাহার মতানুগামির প্রথমতঃ নিৰ্ব্বিরোধী ও বিনীত ছিল এবং নানক হইতে পারমপর্ষ্য বিধানে গণিত তাহাদিগের চতুর্থগুরু, যে পৰ্য্যন্ত মুসলমানগণ কর্তৃক নিহত না হইয়াছিল তদবধি ঐ রূপ শান্তও নয় ভাবে অবস্থান করিয়াছিল। উক্ত দুর্ঘটনার পর উপহার উত্তরাধিকারী হরগোবিন্দ প্রতিহিংসা পরতন্ত্র হইয় যে তরবারি পূর্বে কখনই তাহার। নিষেকষিত করে নাই তাহা কোষ হইতে বহির্গত করিয়া হস্তে ধারণ করিল। নানক হইতে দশম গুরু গুরুগোবিন্দ শিকদিগের ঐহিক পরাক্রম প্রচারের মূলীভূত কারণ ; তিনি ডাহার স্বমতাবলম্বিদিগকে অস্তধারণে দীক্ষিত করিয়া সিংহ উপাধি প্রদান করিলেন । যাহারা নানকের মতভুক্ত তাহার। খাল্স নামে প্রসিদ্ধ। খালসারা ধন্মোন্মত্ততায় ও যুযুৎসায় তাদৃশ প্রমত্ত নহে । আকালী অর্থাং অমর নাম বিশেষ সিমহদল ধৰ্ম্ম বিষয়ে অত্যন্ত উন্মভচিত্ত । শিকদিগের ধৰ্ম্ম পুস্তকের নাম গ্রন্থ ভtহার প্রধানভাগ আদিগ্রন্থ, তাহা তাহারদিগের শেষ আচাৰ্য্য গুরুগোবিন্দ কর্তৃক বিরচিত । অধিকাংশ শিকের। লাহোরের ও অমৃতসরের চতুৰ্দ্দিগে একত্রিত হইয়া আছে। এতদ্ব্যতিরেকে এতদ্দেশে অন্যান্য অনেক ধৰ্ম্মমত প্রচলিত আছে, কিন্তু তাদৃশ গৌরবিত নহে, তদ্ভিন্ন ভারতবর্ষের সমুদায় ভাগেই মহম্মদীয় ধৰ্ম্ম মুগামী বিস্তর লোক তাছে।