পাতা:ভুতের বেগার - ক্ষীরোদপ্রসাদ বিদ্যাবিনোদ.pdf/১২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভূতের বেগায়। সব টাকা ঘর থেকে বার করবে, তার ওপরে দেন । তোমায় চাকরীটে কি আমি বুঝতে পারছি না। আনন্দ। সে তোমায় কিছু বুঝতে হবেনা। আগে যাকে বলত মুছদ্দিগিবি, বুঝেছি—তবে সেটা দিশি চাকরী আর এটা বিলিতি। ; শারদ। ওমা ! তাই বল মুছুন্দী-ত টাকা কবে দিতে হবে ? আনন্দ । কথা হয়ে রইল - তারপর নেবার সময় নেবো । নিতাই । ( নেপথ্যে )। বাবু ! বাবু!- আনন্দ । কি নিতাই এসেছ ! (নিতায়ের প্রবেশ) কি খবর ? নিতাই। ভারী মজার খবব ! বাউয়েল সাহেবের বেলি চুই-চুই। কেও—ম। —ভারী মজা মা ! ভারী মজা! আমি পশ্চিম দিকের গুদোমের ভূষিমালগুলো সাফ করতে গেছি, এমন সময় দেখি বড় সাহেব বাড়ীর বাবাণ্ডার সামনে গঙ্গাব ধারে পাইচারি করছে । আপনার আশীৰ্ব্বাদে আমাকে সাহেব বড়ই অনুগ্রহ করে। কিনাআমি পাটিপে পাটিপে পাশ কাটিয়ে যাব মনে করছি, কিন্তু যাবার যোকি তার বেরাল চোকি-বন বন ঘুরচে-টপ ক’রে আমাকে দেখে ফেললে । দেখেই বলে-হ্যাটাই-হ্যাটাই-আমি যেন শুনতে পাইনি এমনি করে মাথা ফিরিয়ে গঙ্গাবাগে চেয়ে রইলুম। আর পেছন থেকে বলবকি বাবু-বলব কি মা-বেরালে যেমন ইদুর ধরে তেমনি ক’রে বড় সাহেব টপ করে এসে খপ ক’রে আমার ঘাড়টা ধরে তুলে ফেললে। তুলেই বললে-এই ইউ গাধা উল্লুক, বদমাস ন্যাটাইন্যাটাইতো—ন্যাটাই-শালার হাতে পড়ে আমি বন বন করে ঘুরতে লাগলুম। সাহেব হোহো ক’রে হেসে বললে-কি ন্যাটাই তোমার বাবুটাে এজেণ্টে হইল তাতে তোমার কি হইল ? আমি বললুম, আমার তা সবই হইল হুজুর-কিনা হইল। বাবুরইত খাচ্ছি।