করিতে পারিল না। সহসা নির্মেঘ আকাশ হইতে বিচিত্রবর্ণে-রঞ্জিত ওই ছাদটা ফুটা করিয়া যদি শতবজ্র এক সঙ্গে সেই ঘরের মধ্যে নামিয়া আসিত, তাহা হইলেও বোধ করি সে ঘরের লোকেরা ইহাপেক্ষা অধিকতর স্তম্ভিত হইত না। কেহ কাহারও মুখের দিকে চাহিয়া দেখিতেও পারিতেছিল না, কেবল মারাট একবার তীক্ষ্ণ বিদ্রূপের ক্রুহাস্যে নবীন গভর্ণরের সর্পদষ্টবৎনীলিমালিপ্ত বিকৃত মুখের দিকে চাহিয়া দেখিলেন। সে মুখে গভীর হতাশাপেক্ষাও বিস্ময়ের বিমুঢ়ভাব অতি সুস্পষ্ট অক্ষরে প্রশস্ত উদার ললাটে রেখায় রেখায় ফুটিয়া উঠিয়াছিল।
মারাট বিজয়ের উৎসাহানন্দপরিপূর্ণ স্বরে জিজ্ঞাসা করিলেন, “এ পত্র তবে আপনিই লিখেছেন ব’লে স্বীকার কর্চেন?”
জুলিয়েট কাতরনেত্রে ডিরোলেডের পাষাণ মূর্ত্তির প্রতি একবার মাত্রই ফিরিয়া দেখিল, তারপর আর্তকণ্ঠে কহিল, “হ্যাঁ আমিই লিখেছি।”
বাধা দিয়া উচ্চ কণ্ঠে তিরস্কারপূর্ণ কাতরস্বরে বৃদ্ধা