পাতা:মায়াবী - পাঁচকড়ি দে.pdf/৪০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

N9 বালিকা নীরবে অশ্রুবর্ষণ করিতেছিল। হিমনিষিক্তপদ্মবৎ তাহার মুখ অশ্রশ্লাবনে একান্ত মল্লিন ; তাহার লাবণ্যোজ্জল দেহ কালিমাবৃত এবং কঙ্কালাবশেষ। কেশরাশি রুক্ষ জড়িত এবং বিশৃঙ্খল। বালিকা • নতমুখে একটি নিশ্বাস অতিকষ্টে একবারে দুইবারে তিনবারে টানিতেছিল। বালিকার সেই পরম সুন্দর মুখখানি, এক্ষণে কঁদিয়া স্নান হইলেও তাহার সেই আকৰ্ণবিশ্ৰান্ত ফুল্লেন্দীবরতুল্য চক্ষু, এবং সেই . আয়ত চক্ষুর মধুরোজ্জল লীলাচঞ্চল দৃষ্টি সেই মানমুখখানিতে এক অননুভূতপূর্ব সৌন্দৰ্য্য বিকাশ করিয়া রাখিয়াছিল। ষে কক্ষে সেই বালিকা বসিয়াছিল, তাহ বাহির হইতে আবদ্ধ। বালিকা বন্দিনী । অনেকক্ষণ কাদিয়া হৃদয়ের বেগ কিছু শমিত হইলে বালিকা পশ্চিমদিকের একটা জানালার সম্মুখে আসিয়া দাঁড়াইল। সেই জানালা-পথে প্রবেশ করিয়া বায়ু-প্রবাহ বালিকার রাশীকৃত রুক্ষ কেশভার উড়াইয়া উড়াইয়া একবার তাহার সেই মুখখানির উপর ফেলিতে লাগিল, আবুর উঠাইয়া, ঘুরাইয়া ঘুরাইয়া আবার সেই दिमानभघांछई মলিন, বুিবর্ণীকৃত মুখখানি ঢাকিতে লাগিল। এমন যে সুন্দর মুখ! এমন স্নান ? না দেখিয়া ঢাকিয়া রাখাই ভাল, ইহাই বুঝি, কি এইরকম । কোন একটা বায়ুর উদ্দেশ্য ; বায়ুর যে উদ্দেশ্যই হউক, বালিকা তাহাতে অত্যন্ত বিরক্ত হইতেছিল । বালিকা একদৃষ্টি দেখিতেছিল, দৃষ্টি-সীমার মিগ্ধোজ্জল রক্তক্সতঁ নীলিমাময় বেলাপ্রান্তে কেমন ধীরে ধীরে আরক্তরবি ক্রমশঃ ডুবিয়া যাইতেছিল; এবং আরও কিছু দূরে কি ভয়ঙ্কর মূৰ্ত্তিতে নিবিড় মেঘমালা গােধূলির হেমকিরণপরিব্যাপ্ত আকাশের সেই মধুর কোমলচ্ছবি ব্যাপিয়া, পুঞ্জীকৃত হইয়া, স্তুপীকৃত হইয়া অল্পে অল্পে চারিদিকে ছড়াইয়া পড়িতেছিল। বালিকার দৃষ্টি সেই সকলের উপর