পাতা:মায়া-মৃগ - কাশীন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৫৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৫০
মায়া-মৃগ।

এক্ষণে নিরানন্দময়। দুবাচাবের অত্যাচারে ত্রিদশালয়। একেবারে ছিন্ন ভিন্ন হ’য়েছে।

 ইন্দ্র। রাবণ দুর্জেয়; রাবণের রণে আমি বারংবার পরাজয় স্বীকার ক’রেছি। রাবণাত্মজ মেঘনাদের নাম স্মরণ হ’লে এখনো আমার হৃৎকম্প উপস্থিত হয়। আমাকে পরাজিত ক’রে দুর্ম্মদ মেঘনাদ, ইন্দ্রজিৎ নাম ধারণ ক’রেছে। সে দুরাত্মা ও রাবণ হ’তে ন্যূন নয়।

 চন্দ্র। রাবণ, দেবতাদের প্রতি অতিশয় নিগ্রহ ক’চ্ছে। প্রায় সকল অমরকেই দশাননের দাস্যবৃত্তি স্বীকার ক’র্ত্ত্যে হ’য়েছে। আমাকে প্রতি নিশাতেই লঙ্কাপুরীতে পূর্ণরূপে উদিত হ’তে হয়; এক দিনও বিশ্রাম পাই না।

 বায়ু। নিগ্রহের কথা। আর কি ব’ল্‌বো, লঙ্কাপুরীতে আমাকে সম্মার্জ্জকের কার্য্য ক’র্ত্ত্যে হয়। রাবণ কখন কি করে এই আশঙ্কায় মন সতত অস্থির থাকে।

 অগ্নি। রাবণ আমাকে পাচকের কার্য্যে নিযুক্ত ক’রেছে। কি করি, ভয় ক্রমে তা’ই স্বীকার ক’রেছি।