পাতা:মিল্টনের জীবন চরিত.pdf/১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১২
মিল্টনের জীবন চরিত

পাঠ করিলে আমাদিগের মনে নানা মহান্‌ ভাবের উদয় হয়; সর্ব্বনিয়ন্তা পরমেশ্বরের আজ্ঞাধীন হইয়া সকল কর্ম্মে নিযুক্ত হইলে সুখী, এবং তাঁহার প্রতি অবাধ্যতা প্রকাশ করিলে দুঃখে পতিত হইতে হয়, এই পুস্তক পাঠ করিলে এই দুর্ম্মূল্য শিক্ষা প্রাপ্ত হওয়া যায়। ইহা অমিত্রাক্ষরছন্দে রচিত, কিন্তু সারল্যের কিছুমাত্র ব্যতিক্রম দৃষ্ট হয় না। ডাক্তার ব্লেয়ার বলেন যে মিল্‌টন এই কবিতা রচনা দ্বারা পুরাকালীয় ও আধুনিক কবিদলের সর্ব্বাগ্রগণ্য পদে অধিষ্ঠিত হইয়াছেন। জনসন, লর্ড অফর্ড ইত্যাদি শত২ ব্যক্তি মহাকবির অসাধারণ কবিতাশক্তির সাক্ষ্য প্রদান করিয়াছেন। ইংরাজি ভাষায় বিশেষ ব্যুৎপত্তি লাভের আকাঙ্ক্ষা করিয়া, ‘প্যারাডাইস লষ্ট’ না পাঠ করিলে কৃতকার্য্য হইবার সম্ভাবনা নাই।

 ১৬৭০ খৃঃ অব্দে মিল্‌টন ছয়ভাগে ইংলণ্ডের ইতিহাস প্রকাশ করেন। তাহাও গুণীগণের নিকট আদরণীয়া হইয়াছিল। পরবৎসরে ‘সুখ পুনঃপ্রাপ্ত’ নামে কবিতা প্রকাশ হয়। ইহাতে