পাতা:যশোহর-খুল্‌নার ইতিহাস দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/১৬৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যশোরেশ্বরী ১৩৫ আছেন, এবং তাছার মুখচ্ছবি হইতে দিব্যপ্রভা বিকীর্ণ হইতেছে। এই প্রতিমা যশোরেশ্বরী-মুক্তির সহিত একই সময়ে আবিষ্কৃত হইয়াছিল কিনা সন্দেহ। আমরা পূৰ্ব্বখণ্ডে দেখাইয়াছি যে,প্রায় শতবর্ষপূৰ্ব্ববৰ্ত্তা একটি মোকদ্দমার বর্ণন হইতে জানা যায়, যশোরেশ্বরী দেবী সত্যযুগ হইতে প্রকাশিত আছেন ; আর প্রতাপাদিত্যের সময় হইতে শ্ৰীশ্ৰীঅন্নপূর্ণ ঠাকুরাণীর নিষ্কর বৃত্তি চলিয়া আসিতেছে। ইহা হইতে বুঝা যায়, প্রতাপাদিত্য এই মূৰ্ত্তি আনিয়া দেবীর মন্দির মধ্যে প্রতিষ্ঠা করেন এবং উহার জন্ত বৃত্তির ব্যবস্থা করিয়া দেন। অন্নপূর্ণ সত্যযুগ হইতে থাকিলে, যশোরেশ্বরীর সহিত একসঙ্গে সেরূপ উল্লেখ থাকিত । নিশ্চয়ই প্রতাপাদিত্য অন্যত্র হইতে এমূৰ্ত্তি সংগ্রহ করেন, এবং ইহার অপূৰ্ব্ব ভাস্কর্ঘ্যে মুগ্ধ হইয়া ইহার প্রতিষ্ঠা করেন। গঙ্গামূৰ্ত্তি গঙ্গাতীরবর্তী তীর্থক্ষেত্রে ভিন্ন অন্যত্র দেখা যায় না ; কাশীধামের অপর পারে রামনগরে গঙ্গার গর্ভ হইতে উখিত এক মন্দিরে গঙ্গাদেবীর যে অপূৰ্ব্ব মৰ্ম্মর প্রতিমা দেখিয়াছি, তেমন সুন্দর জীবন্তমূৰ্ত্তি বোধ হয় জগতে আর নাই। কাশী যেমন এক গঙ্গাতীর্থ, সগরদ্বীপও তাহাই। অনুমান করি, প্রতাপাদিত্য যখন সগরদ্বীপ জয় করিয়াছিলেন, তখন তথায় এই গঙ্গামূৰ্ত্তি পান এবং উহা নিজ রাজধানীতে স্থানান্তরিত করেন । আমরা দেখাইয়াছি, ইহা সেন রাজগণের আমলের ভাস্কর্ঘ্যের নিদর্শন। প্রতাপাদিত্যের সময়ে এ মূৰ্ত্তি চিনিতে ভুল হইয়াছিল, তাহ বলিতে পারি না। হয়তঃ চাদরায় বা অন্তকোন পরবর্তী রাজার আমলে ইহার বৃত্তি ব্যবস্থার সময় গঙ্গামূৰ্ত্তি লাস্তিবশতঃ অন্নপূর্ণ নামে উল্লিখিত হন । দীক্ষার পর প্রতাপাদিত্য রীতিমত তান্ত্রিক আচারানুষ্ঠান দ্বারা সাধন আরম্ভ করেন। এইরূপ পূজাদির সময় তিনি সুরাপান করিতেন। সাধন-মার্গে স্বরাপানের গুণভাগ যাহাই থাকুক, উহার দোষভাগও প্রতাপের চরিত্রে বিশেষ ভাবে বৰ্ত্তিয়াছিল। তিনি মত্তাবস্থায় কয়েকটি ঘোর নির্ণয়তার কার্য্য করিয়া ভাস্কর্ষ্যের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং উছা যে গঙ্গামূৰ্ত্তি সে বিষয়ে কোন সন্দেহ নাই বলিয়া নির্দেশ করেন। রাখালবাবু বলেন, বঙ্গে যে একটি বিশিষ্ট ভাস্কৰ্য্য প্রণালী ছিল এ ভুঞ্জি उiशब्रहे ●धवृहे निमर्थन ।