পাতা:যশোহর-খুল্‌নার ইতিহাস দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৭১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যশোহর-খুলনার ইতিহাস را e و \ সেকালের কৌন্সিলের রিপোর্ট হইতে জানিতে পারি, ঐ পরিবারদিগের মধ্যে সীতারামের দুইটি শিশু পুত্র, একটি বালিকা কস্তা, পরিবারভুক্ত ৬টি স্ত্রীলোক এবং ৪জন পুরুষ ভূত্য ছিল। সীতারামের পুত্ৰগণের মধ্যে গুামসুন্দর ও সুরনারায়ণ প্রাপ্ত বয়স্ক, তাহারা পলায়ন করেন নাই। অবশিষ্ট দুইটি নাবালক পুত্র, বামদেব ও জয়দেব এবং তাহদের এক কনিষ্ঠ ভগিনী এবং মাতা অর্থাৎ সীতারামের তৃতীয় স্ত্রী পলায়িত দিগের মধ্যে ছিলেন। অপর পাচটি স্ত্রীলোক তৃতীয় রাণীর আত্মীয়া বা পরিচারিক হওয়া সম্ভবপর। এই বামদেব ও জয়দেবের বংশ নাই, তাহারা বয়স্ক হইয় নিঃসন্তান অবস্থায় মারা যান। শু্যামসুন্দরের পৌত্র নিমাইরায় বংশহীন হইলে, তাহার ধারা শেষ হয়। স্বরনারায়ণের পুত্র প্রেমনারায়ণ রাণী ভবানীর নিকট হইতে কিছু ভূসম্পত্তি পাইয়াছিলেন । র্তাহার একমাত্র পৌত্র নবকুমার নিঃসস্তান হওয়ায় সীতারামের বংশের পুরুষ-ধারা সেইস্থানে ব্যাহত হইয়াছে। নবকুমারের ভগিনী অলকমণির সহিত যশোহর-মোক্তারপুর নিবাসী মহেশচন্দ্রদাসের বিবাহ হয় ; তাহদের পুত্র গিরিশচন্দ্র দাস স্থৰ্য্যকুণ্ডে আসিয়া বাস করেন। গিরিশচন্দ্রের পুত্র উমাচরণের শোচনীয় অবস্থা আমি স্বচক্ষে দেখিয়াছি। র্তাহার কস্তার সস্তানেরা এখন সীতারামের শেষ নিদর্শন স্বরূপ স্বৰ্য্যকুও গ্রামে আছেন। সীতারামের ভ্রাতা লক্ষ্মীনারায়ণের বংশধরেরা এখনও হরিহরনগরে বাস করিতেছেন। তন্মধ্যে দেবনাথ রায় প্রধান বটে, কিন্তু তাহার সামান্ত সম্পত্তির আয় হইতে বর্তমান দুৰ্দ্দিনে গ্রাসাচ্ছাদনের সংস্থান করা দুষ্কর হইয়াছে। তবুও নদী মরে, তাহার রেখা থাকে ; অতিথি অভ্যাগত দেবনাথকেই খুজিয়া বারি করে। আমরা পূৰ্ব্বে সীতারামের পূর্বপুরুষের যে বংশ-লতিকা দিয়াছি ৫১৮ খৃঃ) উহা হইতেই দেখা যাইবে যে রামদাস গজদানীর পৌত্র রামগোপালের ধারা মুর্শিদকুলি খাঁর সময় জায়গীর পাইর মেদিনীপুরের অন্তর্গত চন্দ্রকোণায় বাস করেন। তত্ত্বংশীয় রামলোচন মুন্সেফরূপে সরকারী কার্য্যে খ্যাতি লাভ করেন এবং তাহার পুত্রপৌত্রগণ বিদ্যা-প্রতিভা ও পদ গৌরবে প্রাচীন বংশকে সমুজ্জল করিয়াছেন। সীতারামের খুরপিতামহ বাস্থদেৰ রায়ের ধারা এক্ষণে মুর্শিদাবাদের অন্তর্গত জামালপুর প্রভৃতি স্থানে বাস করিতেছেন।