পাতা:যুগান্তর - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১৪৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দশম পরিচ্ছেদ y 89 পাইবামাত্র তিনি স্থির করিলেন যে, বাড়ীতে এই কথা বলিয়া যাইবেন। যে, সিংহযোড়ের রাস দেখিয়া শ্বশুরালয়ে গমন করিবেন ; ভিতরকার কথাটা গোপন থাকিবে। তর্কভূষণ মহাশয় ভিতরকার কথা কিছুই জানেন না ; সুতরাং হরচন্দ্র যখন প্ৰস্তাব করিলেন যে, এই উপলক্ষে তাহার সিংহযোড়ের রাস দেখিবার ইচ্ছা, অতএব তিনি কয়েক দিন পূৰ্ব্বে যাত্রা করিয়৷ রাস দেখিয়া শ্বশুরালয়ে যাইবেন, তখন তিনি র্তাহার স্বাভাবিক স্নেহপ্রবণতা বশতঃ সে প্ৰস্তাবে সম্মত হইলেন । যথাসময়ে স্ত্র রচন্দ্ৰ গ্ৰাম হুইতে যাত্ৰা করিলেন । প্ৰথমে শঙ্করের মনেও কোনও সন্দেহ হয় নাই ; তিনি সরল ভাবেই ভাবিয়াছিলেন, যে শুঙ্খালীর বিবাহে শ্বশুরালয়ে যাওয়াই হরচন্দ্রের মুখ্য উদ্দেশ্য, রাস দেখাটা গৌণ মাত্র ; কিন্তু যখন শুনিলেন যে, সেই দিনে গ্রামের আমোদ-প্ৰিয় দলও সিংহযোড়ের রাস দেখিতে বাহির হইয়াছে, তখন তাহার মনে কিঞ্চিৎ শঙ্কার ও সেই সঙ্গে হরচন্দ্রের প্রতি ক্রোধেরও উদয় হইল। কিন্তু সে কথা-তিনি কাহারও নিকট কিছু ভাঙ্গিলেন না । কেবল মাত্র বিজয়াকে একবার বলিলেন, “ছোট পিসি ! হার যে রাস দেখতে গেল, এটা ভাল হলো না ; শুনছি। হতভাগা গুলো না কি সেই সঙ্গে গিয়েছে।” বিজয়ী শুনিয়া অতিশয় চিন্তিত হইলেন ; কিন্তু কাহাকেও কিছু বলিলেন না । ওদিকে যুবকদল এই পরামর্শ করিয়া রাখিয়াছে যে, গ্রাম হইতে বাহির হইবার সময়ে সকলে একত্রে যুটিবে না। একজন অগ্ৰে গিয়া গ্রামের বাহিরে একখান নৌকা করিয়া রাখিবে, সেখানে সকলে নানা দিক । দিয়া আসিয়া ফুটিবে। চিমু ঘোষ কলিকাতা হইতে আসিয়া পথে তাহাদের সঙ্গ লইবে । তদনুসারেই কাৰ্য্য হইল। বন্ধনমুক্ত বিহঙ্গমের ন্যায় যুবকদলের আনন্দের সীমা নাই। নৌকাতে এক বেলার পথ একদিনে