উনবিংশ পরিচ্ছেদ । २४२ গ্রামেই ছিল না ; স্থানান্তরে গিয়াছিল। জয়গোপাল তাহাকে ছবিগুলি পরদিন দিয়াছিল। ভাল মানুষ বৃদ্ধ রামরতন মুখুয্যের মস্তকে বজাঘাত হইল। ব্রাহ্মণপণ্ডিত মানুষ, আইন আদালতের ধার কি ধারেন, অশরণ হইয়া গ্রামের দুই একজন বিষয়ী লোকের শরণাপন্ন হইলেন ; সকলেই বলিলেন, নিস্কৃতি পাওয়া সম্ভব নহে। সে যে চুরি করিয়াছিল, তাহাতে সন্দেহ নাই ; কারণ উহার স্বভাব্যচরিত্র পূর্বাবধিই মন্দ। সে যে সে রাত্রে গ্রামে ছিল না, সে কথা কেহই বিশ্বাস করিল না। এই যুবককে সাহায্য করিবার জন্য কাহারও প্ৰবৃত্তি হইল না। মুখুয্যে মহাশয় কলিকাতাতে পুত্ৰদ্ধয়কে পত্র লিখিলেন ; তাহারা লিখিয়া পাঠাইল, “যেমন কৰ্ম্ম তেমনি ফল ; জেলে যাক ; আমাদের কিছু দুঃখ নেই।” বৃদ্ধ ব্ৰাহ্মণ আনন্যেপায় হইয়া ছুটয় বেড়াইতে লাগিলেন। সাজ যাহা হইবার তাহা ত পরে হইবে, এখন ত বঁাচাইবার জন্য চেষ্টা দেখিতে হয়। কে অর্থ দেয়, কে পরামর্শ দেয়, কে সাহায্য করে ? ব্রাহ্মণের তখনকার ব্যগ্রতা ও কাতর ভাব দেখিলে পাষাণও বিদীর্ণ হইয়া যাইত। শ্বশুর ভাল মানুষ বলিয়া তাহার প্রতি ভুবনেশ্বরীর একটু শ্রদ্ধা ছিল। তিনি শ্বশ্ৰাকে বলিলেন,-“ঠাকুর কোন ছুটিয়া বেড়ান, আমার ত গহনা আছে, বিক্র করে মকদ্দমার খরচ করুন।” এ প্রস্তাবটা শ্বশ্রারও মনঃপূত হইল ; কারণ তাড়ন্ন আর উপায় নাই। ভুবনেশ্বরীর গহনা বাধা দিয়া মকদ্দমার খরচ চলিল। বিচারে জ্ঞানেন্দ্ৰ চুরির প্রধান অপরাধ হইতে নিস্কৃতি পাইল বটে, কিন্তু চোরাই মাল গ্রহণ ও বিক্রয় করা অপরাধে একমাস কারাবাস দণ্ডে দণ্ডিত হইল ; এবং জয়গোপাণের তিন মাস কয়েদ হইল। ইহা গেল ১৮৫৭ সালের চৈত্র মাসের কথা। জ্ঞানেন্দ্র কারাগার হইতে আরও বিকৃত হইয়া আসিল । পুর্ষে
পাতা:যুগান্তর - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২৯২
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
![](http://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/3/35/%E0%A6%AF%E0%A7%81%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%B0_-_%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%A5_%E0%A6%B6%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80.pdf/page292-1024px-%E0%A6%AF%E0%A7%81%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%B0_-_%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%A5_%E0%A6%B6%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80.pdf.jpg)