পাতা:রক্তকরবী - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৪২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

○○8 অধ্যাপক এতদিন ওঁর প্রশ্ন ছিল জিনিষ পদার্থটার অর্থ কি। এখন খুঁজতে লেগেছেন তাজা বলতে কি বোঝায়। বস্তুর মধ্যে অবস্তুকে খোঁজবার ইচ্ছে, ওটা মনের সহজ অবস্থা নয়। ঘোরতর অরুচির লক্ষণ । সর্দার এমন অবস্থায় কোন বুদ্ধি করে “ তুমি এই পুরাণওয়ালাকে ওঁর কাছে আনলে ? তাও যদি চেহারাটা রসালো থাকত। এখন ওকে ফেলি কোথায় ? অধ্যাপক সর্দারজি, আজ ত তোমাদের সব এঁটো বিদায় করবার দিন, ঐ ত রাস্তা দিয়ে চলেচে, ওদের সঙ্গে কোনোমতে একেও পার করে দিয়ো । একে তোমাদের জাতায় পিষলে মজুরী পোষাবে না। সর্দার সে ত হবার জো নেই, নিয়মে বাধে। এখনকার মত বরন্ট (يا সর্দারের প্রবেশ সর্দার ওহে বস্তুবাগীশ, বেছে বেছে এই মানুষটিকে এনেচ বুঝি। অধ্যাপক কি করি সর্দার দা, আজকাল যাকেই আনি কাউকেই পছন্দ হচ্চে না । সর্দার উনি যে তাজা জিনিষ ছাড়া আজকাল আর কিছুই সহ্য করতে পারেন না। কারণটা কি বল ত’ ? অধ্যাপক এতদিন ওঁর প্রশ্ন ছিল জিনিষ পদার্থটার অর্থ কি। এখন উঠে পড়ে’ খুঁজতে লেগেচেন তাজা বলতে কি বোঝায়। বস্তুর মধ্যে অবস্তু খোঁজবার ইচ্ছে, ওটা মনের সহজ অবস্থা নয়। ঘোরতর অরুচির লক্ষণ । সর্দার এমন অবস্থায় কোন বুদ্ধি করে পুরাণওয়ালাকে ওঁর কাছে আনলে ? তার চেহারাটা যদি রসালো থাকত। এখন ওকে ফেলি কোথায় ? অধ্যাপক সর্দারজি, আজ ত তোমাদের সব এঁটো বিদায় করবার দিন। ঐ ত ওদের রাস্তা দিয়ে বেটিয়ে নিয়ে চলেচ । গোলমালে এঁকেও পার করে দাও না । একে তোমাদের জাতায় পিষলে মজুরী পোষাবে না। সর্দার জো নেই, নিয়মে বাধে । যার আর কোথাও কোনো গতি নেই তাকে দিয়ে আমরা অনেক কাজ পাই। নারকেলের ছোবড়া দিয়েই আমাদের সব চেয়ে শক্ত রসি তৈরি হয় ।