পাতা:রক্তকরবী - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৫৭৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শেষ দান, তার এই রাখীবন্ধন । চল । (প্রস্থান) দূরে গান পেীয_তোদের_ডাক দিয়েছে,_আয়রে_চলে, SIRI, SIRI, SIE ! ধুলার_আঁচল ভরেচে_আজ প্রাকLফসলে भक्तःि,_शा_शञ्च_शञ्च_! പ || പ (নয়) দশম খসড়া। পাণ্ডুলিপি সংখ্যা 15। (vi) পৃষ্ঠা সংখ্যা 153 | আয়তন : 7.8" x 6.3" অথবা 19.8 সেমি x 16 সেমি । বিবরণগত বৈশিষ্ট্যের দিক থেকে উল্লেখযোগ্য ; হলদে রঙের মলাট-দেওয়া রুলটানা কাগজের খাতায় খসড়াটি লেখা হয়েছে। এবং তা কবির নিজের হস্তাক্ষরে । সর্বোপরি, যা বিশেষভাবে লক্ষণীয় তা এই যে, কবির নিজের হস্তাক্ষরেই মলাটের ওপর লেখা আছে ‘রক্তকরবী । খসড়াটির সবচেয়ে গুরুত্ব এই যে, মুদ্রিত হওয়ার অব্যবহিত আগে অর্থাৎ সর্বশেষ দশম খসড়াটি প্রস্তুত করার পূর্ব মুহুর্তে এখানেই মূল রচনার চূড়ান্ত রূপটি দেখতে পাচ্ছি এবং সেই সূত্রেই নবাগত চরিত্র কিশোরকে দেখতে পাই। খসড়াটির শুরু ও শেষ অংশ উল্লিখিত হল : (ক) শুরু : নন্দিনী ও কিশোর (সুরঙ্গ-খোদাইকর বালক) কিশোর আর ফুল চাই নন্দিনী, আরো এনেচি। ন্দিনী দৌড়, দৌড়, এখনি কাজে ফিরে যা, দেরি করিস নে । শার সমস্ত দিন ত কেবল মাটি খুঁড়ে খুঁড়ে সোনার তাল তুলে আনি, তার মধ্যে থেকে একটু সময় চুরি করে তোর জন্যে ফুল খুঁজে আনতে পারলে বেঁচে যাই। । নন্দিনী ওরে কিশোর, জানতে পারলে যে ওরা শাস্তি দেবে। র তুমি বলেছিলে রক্তকরবী তোমার চাইই চাই। আমার আনন্দ এই যে, রক্তকরবী এখানে সহজে মেলে না। অনেক খুঁজে পেতে এক জায়গায় এদের জঞ্জালের পিছনে একটি মাত্র গাছ পেয়েচি । নন্দিনী আমাকে দেখিয়ে দে, আমি নিজে গিয়ে ফুল তুলে আনব । (খ) শেষ অংশ : ফাগুলাল আর ঐ দেখ ধূলায় লুটচ্চে তার রক্তকরবীর কঙ্কণ। ডান হাত থেকে কখন খসে পড়েচে । তার হাতখানি আজ সে রিক্ত করে দিয়ে চলে গেল । বিশু তাকে বলেছিলুম তার হাত থেকে কিছু নেব না। এই নিতে হল, তার শেষ দান । (প্রস্থান)