পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (অষ্টম খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/১৮০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রবীন্দ্র-রচনাবলী ט\ט כי এক সময়ে সন্দীপবাবু আমার দিকে চেয়ে বললেন, আপনি কী বলেন ? আমি বললুম, আমি বেশি স্থক্ষ্মে যেতে চাই নে, আমি মোট কথাই বলব। আমি মানুষ, আমার লোভ আছে, আমি দেশের জন্তে লোভ করব—আমি কিছু চাই যা আমি কাড়ব কুড়ব ; আমার রাগ আছে, আমি দেশের জঙ্গে রাগ করব, আমি কাউকে চাই যাকে কাটব কুটব, যার উপরে আমি আমার এতদিনের অপমানের শোধ তুলব ; আমার মোহ আছে আমি দেশকে নিয়ে মুগ্ধ হব, আমি দেশের এমন একটি প্রত্যক্ষ রূপ চাই যাকে আমি মা বলব, দেবী বলব, দুর্গ বলব ; যার কাছে আমি বলিদানের পশুকে বলি দিয়ে রক্তে ভাসিয়ে দেব । আমি মাছুয, আমি দেবতা নই। সন্দীপবাবু চৌকি থেকে উঠে আকাশে দক্ষিণ হাত আস্ফালন করে বলে উঠলেন, হুর, হুরা —পরক্ষণেই সংশোধন করে বললেন, বন্দে মাতরং বন্দে মাতরং । আমার স্বামীর অন্তরের একটি গভীর বেদনা তার মুখের উপর ছায়া ফেলে চলে গেল। তিনি খুব মৃদ্ধস্বরে বললেন, আমিও দেবতা না, আমি মানুষ, আমি সেইজন্তেই বলছি, আমার যা কিছু মন্দ কিছুতেই সে আমি আমার দেশকে দেব না, দেব না, দেব না । সন্দীপবাবু বললেন, দেখো নিখিল, সত্য-জিনিসটা মেয়েদের মধ্যে প্রাণের সঙ্গে মিশিয়ে একেবারে এক হয়ে আছে । আমাদের সত্যে রঙ নেই, রস নেই, প্রাণ নেই, শুধু কেবল যুক্তি । মেয়েদের হৃদয় রক্তশতদল, তার উপরে সত্য রূপ ধরে বিরাজ করে, আমাদের তর্কের মতে তা বস্তুহীন নয় । এইজন্তে মেয়েরাই যথার্থ নিষ্ঠর হতে জানে, পুরুষ তেমন জানে না, কেননা ধর্মবুদ্ধি পুরুষকে দুর্বল করে দেয় ; মেয়ের সর্বনাশ কুরতে পারে অনায়াসে, পুরুষেও পারে কিন্তু তাদের মনে চিন্তার দ্বিধা এসে পড়ে ; মেয়ের ঝড়ের মতো অন্যায় করতে পারে, সে অন্তায় ভয়ংকর স্বন্দর, পুরুষের অন্তায় কুশ্রী, কেননা তার ভিতরে ভিতরে স্তায় বুদ্ধির পীড়া আছে । তাই আমি তোমাকে বলে রাখছি আজকের দিনে আমাদের মেয়েরাই আমাদের দেশকে বাচাৰে । আজ আমাদের ধর্মকর্ম-বিচারবিবেকের দিন নয়, আজ আমাদের নিবিচার নিধিকার হয়ে নিষ্ঠুর হতে হবে, অন্যায় করতে হবে, আজ পাপকে রক্তচন্দন পরিয়ে দিয়ে আমাদের দেশের মেয়েদের হাতে তাকে বরণ করে নিতে হবে । আমাদের কবি কী বলেছে মনে নেই ?— এস পাপ, এস সুন্দরী ठक् फूवन-अग्नि-अविव्र ब्रप्ड क्क्रिक नस्पब्रि ।