পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্থ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৪৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারতবর্ষ 83& ন, তাহার বিপরীতই করিত। যখন সমস্ত সঞ্চিত হইয়াছে, ভাওরে পূর্ণ হইয়াছে, পুত্র বয়ঃপ্রাপ্ত হইয়া বিবাহ করিয়াছে, যখন সেই পূর্ণপ্রতিষ্ঠিত সংসারের মধ্যে আরাম করিবার— ভোগ করিবার— অবসর উপস্থিত হইয়াছে, ঠিক সেই সময়েই সংসার *ब्रिख्यांcर्णब बावश ; बउनिन थांप्लेनि उठनिन छूबि चांइ, बर्षम थांप्लेनि यक उर्थन আরামে ফলভোগের দ্বারা জড়ত্বলাভ করিতে বস নিষিদ্ধ। সংসারের কাজ হইলেই সংসার হইতে মুক্তি হইল, তাহার পরে আত্মার অবাধ অনন্ত গতি। তাহ নিশ্চেষ্টত নহে। সংসারের হিসাবে তাহ জড়ত্বের স্তায় দৃশ্যমান, কিন্তু চাকা অত্যন্ত ঘুরিলে যেমন তাহাকে দেখা যায় না তেমনি আত্মার অত্যন্ত বেগকে নিশ্চলতা বলিয়া প্রতীয়মান হয়। আত্মার সেই বেগকে চতুর্দিকে নানারূপে অপব্যয় না করিয়া সেই শক্তিকে উদবোধিত করিয়া তোলাই আমাদের সমাজের কাজ ছিল । আমাদের সমাজে প্রবৃত্তিকে খর্ব করিয়া প্রত্যহই নিঃস্বার্থ মঙ্গলসাধনের যে ব্যবস্থা আছে তাহ ব্ৰহ্মলাভের সোপান বলিয়াই আমরা তাহ লইয়া গৌরব করি। বাসনাকে ছোটো করিলে আত্মাকেই বড়ো করা হয়, এইজন্তই আমরা বাসন খর্ব করি– সন্তোষ অনুভব করিবার জন্য নহে। যুরোপ মরিতে রাজি আছে, তবু বাসনাকে ছোটো করিতে চায় না। আমরাও মরিতে রাজি আছি, তবু আত্মাকে তাহার চরমগতি পরমসম্পদ হইতে বঞ্চিত করিয়া ছোটো করিতে চাই না। দুৰ্গতির দিনে ইহা আমরা বিশ্বত হইয়াছি— সেই সমাজ আমাদের এখনো আছে, কিন্তু তাহার ভিতর দিয়া ব্ৰহ্মাভিমুখী মোক্ষাভিমুখী বেগবতী স্রোতোধারা যেনাহং নামৃত স্তাং কিমহং তেন কুর্ষামূ’ এই গান করিয়া ধাবিত হইতেছে না— মালা ছিল তার ফুলগুলি গেছে রয়েছে ডোর । সেইজন্ত আমাদের এতদিনকার সমাজ আমাদিগকে বল দিতেছে না, গৌরব দিতেছে না, আধ্যাত্মিকতার দিকে আমাদিগকে অগ্রসর করিতেছে না ; আমাদিগকে চতুর্দিকে প্রতিহত করিয়া রাখিয়াছে। এই সমাজের মহৎ উদ্বেগু যখন আমরা সচেতনভাবে বুঝিব, ইহাকে সম্পূর্ণ সফল করিবার জন্য যখন সচেষ্টভাবে উষ্ঠত হইব, তখনই মুহূর্তের মধ্যে বৃহৎ হইব, মুক্ত হইব, অমর হুইব— জগতের মধ্যে আমাদের প্রতিষ্ঠ হইবে, প্রাচীন ভারতের তপোবনে ঋষির ষে যজ্ঞ করিয়াছিলেন তাহ সফল হইবে এবং পিতামহগণ আমাদের মধ্যে কৃতাৰ্থ হইয়া আমাদিগকে আশীৰ্বাদ করিবেন। . আষাঢ় ১৩০৯ | |