পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্থ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৪৬১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারতবর্ষ। B'లిపి করিয়াছে— তাহারাই দেশের শিক্ষাবিধান, শিল্পের উন্নতি, আনন্দকর উৎসবরক্ষা ও গুণীর উৎসাহসাধন করিয়াছে। হিতাকুণ্ঠানে আজ যদি আমরা পূর্বাভ্যাসক্রমে डांशंदनग्न बांब्राह् एहे, ठरव जांभांछ कल *ांझेब्रां चथवा निक्ल हद्देब्रां कम किब्रिब्र আসি ? বরঞ্চ অামাদের মধ্যবিত্তগণ সাধারণ কাজে বেরূপ ব্যয় করিয়া থাকেন, সম্পদের তুলনা করিয়া দেখিলে ধনীর তাহ করেন না। তাহদের দ্বারবানগণ স্বদেশের অভাবকে দেউড়ি পার হইয় প্রাসাদে ঢুকিতে দেয় না ; ভ্রমক্রমে ঢুকিতে দিলেও ফিরিবার সময় তাহার মুখে অধিক উল্লাসের লক্ষণ দেখা যায় না। ইহার কারণ, আমাদের ধনীদের ঘরে বিলাতের বিলাসিত প্রবেশ করিয়াছে, অথচ বিলাতের ঐশ্বৰ্ধ নাই। নিজেদের ভোগের জন্ত তাহদের অর্থ উদবুত্ত থাকে বটে, কিন্তু সেই ভোগের আদর্শ বিলাতের। বিলাতের ভোগীরা ভারবিহীন স্বাধীন ঐশ্বর্যশালী, নিজের ভাণ্ডারের সম্পূর্ণ কর্তা। সমাজবিধানে আমরা তাহ নহি। অথচ ভোগের আদর্শ সেই বিলাতি ভোগীর অম্বরূপ হওয়াতে খাটে-পালঙ্কে, বসনেভূষণে, গৃহসজ্জায়, গাড়িতে-জুড়িতে আমাদের ধনীদিগকে আর বদান্ততার অবসর দেয় না— তাহাজের বদান্তত বিলাতি জুতাওয়াল, টুপিওয়াল, ঝাড়লণ্ঠনওয়াল চৌকিটেবিলওয়ালার স্ববৃহৎ পকেটের মধ্যে নিজেকে উজাড় করিয়া দেয়, শীর্ণ কঙ্কালসার দেশ রিক্তহস্তে মানমুখে দাড়াইয়া থাকে। দেশী গৃহস্থের বিপুল কর্তব্য এবং বিলাতি ভোগীর বিপুল ভোগ, এই দুই তার একলা কয় জনে বহন করিতে পারে ? কিন্তু আমাদের পরাধীন দরিদ্র দেশ কি, বিলাতের সঙ্গে বরাবর এমনি করিয়া টঙ্কর দিয়া চলিবে ? পরের দুঃসাধ্য আদর্শে সম্রাস্ত হইয়া উঠিবার কঠিন চেষ্টায় কি উদবন্ধনে প্রাণত্যাগ করিবে ? নিজেদের চিরকালের সহজ পথে অবতীর্ণ হইয়া কি নিজেকে লজ্জা হইতে রক্ষা করিবে না ? বিজ্ঞসম্প্রদায় বলেন, বাহা ঘটিতেছে তাহা অনিবাৰ্ধ, এখন এই নূতন আদশেই নিজেকে গড়িতে হইবে। এখন প্রতিযোগিতার যুদ্ধক্ষেত্রে নামিতে হইবে, শক্তির প্রতি শক্তি-জন্ত্ৰ হানিতে হুইবে । * * এ কথা কোনোমতেই মানিতে পারি না। জামাদের ভারতবর্ষের যে মদল এবং আমাদের অন্তরে বাহিরে কোথাও ভগ্ন কোথাও সম্পূর্ণ আকারে তাহ বিরাজ শক্তিপ্রধান স্বাতন্ত্র্যপ্রধান আদর্শের সহিত প্রতিনি যুদ্ধ করিতেছে। সে যদি