পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্থ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৫৭৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

&@8. রবীন্দ্র-রচনাবলী সীমাবদ্ধ করিতেছে তিনি বারে বারে সে সীমা ছিন্ন করিয়া দিতেছেন— তিনি স্থগভীর বেদনার দ্বার, বিচ্ছেদের দ্বার, বিপুলের সহিত, বিরাটের সহিত তাহাকে যুক্ত করিয়া দিতেছেন। সে যখন একদিন হাট করিতে বাহির হইয়াছিল তখন বিশ্বমানবের মধ্যে সে আপনার সফলতা চায় নাই ; সে আপনার ঘরের সুখ, ঘরের সম্পদের জন্যই কড়ি সংগ্ৰহ করিয়াছিল। কিন্তু সেই মেঠো পথ, সেই ঘোরো মুখদুঃখের দিক হইতে কে তাহাকে জোর করিয়া পাহাড়-পর্বত-অধিত্যক-উপত্যকার দুর্গমতার মধ্য দিয়া টানিয়া লইয়া যাইতেছে — গ্রামের যে পথ ধায় গৃহপানে, চাষিগণ ফিরে দিবা-অবসানে, গোঠে ধায় গোরু, বধূ জল আনে শতবার যাতায়াতে, একদা প্রথম প্রভাতবেলায় সে পথে বাহির হইচু হেলায়— মনে ছিল, দিন কাজে ও খেলায় কাটায়ে ফিরিব রাতে । পদে পদে তুমি ভুলাইলে দিক, কোথা যাব আজি নাহি পাই ঠিক, ক্লাস্তহৃদয় ভ্রান্ত পথিক এসেছি নূতন দেশে। কখনো উদার গিরির শিখরে কছু বেদনার তমোগহবরে চিনি না যে পথ সে পথের পরে চলেছি পাগলবেশে । এই-বে কবি, যিনি আমার সমস্ত ভালোমন্দ, আমার সমস্ত অমুকুল ও প্রতিকূল উপকরণ লইয়া আমার জীবনকে রচনা করিয়া চলিয়াছেন, তাহাকেই আমার কাব্যে আমি জীবনদেবতা' নাম দিয়াছি। তিনি যে কেবল আমার এই ইহজীবনের সমস্ত